বিশ্বকবি জীবন জুড়ে গেয়েছেন জীবনের জয়গান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫০, ৮ মে ২০২১
আজ ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম নেন বাঙালির অন্যতম প্রবাদ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মানবপ্রেমের পাশাপাশি প্রকৃতি ও প্রগতিবোধ তার সাহিত্য ও শিল্পকর্মের প্রধান উপজীব্য। ঋষি-কবির সৃষ্টিতে আছে বিস্ময় ও অন্তত জিজ্ঞাসা। আছে অসীমের বন্দনা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবন জুড়ে গেয়েছেন জীবনের জয়গান।
বাঙালির অস্তিত্ব জুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ধ্রুবতারার মত উজ্জ্বল তাঁর উপস্থিতি। রবীর আলোয় ঐশ্বর্যমণ্ডিত হয়েছে বাংলা সাহিত্য।
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ; কোলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্ম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদা দেবীর চর্তুদশ সন্তান রবী। শৈশবে প্রথাগত বিদ্যার বাইরে প্রকৃতির অপার লীলার প্রতি বিস্ময় ও প্রশ্ন তাঁকে নিয়ে গেছে প্রজ্ঞার সন্ধানে। জীবন ও জগতের অনুসন্ধানেই গড়ে উঠেছে তাঁর নিজস্ব জীবনবোধ।
বর্ণময় কর্মজীবনে প্রায় দুই হাজার গান, ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩ উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও ৯৫টি ছোটগল্প ছাড়াও দুই হাজারের অধিক ছবি এঁকেছেন তিনি। প্রেম, পূজা, প্রকৃতি কিংবা প্রতিবাদকে তিনি বেঁধেছেন শব্দে, চিত্রে এবং জীবন আচরণে। তাঁর বোধের জগত আজও বাঙালির প্রেরণার উৎস।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, মানব কল্যাণ চেতনা রবীন্দ্র সাহিত্যের মর্মে মর্মে প্রকাশিত এবং আজকের দিনেও সেই মানব চেতনাটি তাঁর সাহিত্যকে কালোউত্তীর্ণ করে রেখেছে। একটি সমন্বয়বাদী চেতনা তাঁর মধ্যে ছিল এবং সেখানে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য এই বিভাজনকে অতিক্রম করে তিনি একটি বিশ্ব মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। নিজেকে ভেবেছেন বিশ্ব নাগরিক হিসেবে।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যগন্থের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পান রবীন্দ্রনাথ। জালিয়ানওয়ালাবাগে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কবি ত্যাগ করেন নাইট উপাধি।
নিবিড় যোগাযোগ ছিলো গান্ধীসহ স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে। আন্দোলন, রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতিতে নিজের মত প্রকাশ করেছেন শব্দের শক্তিশালী গাঁথুনিতে।
অপার ঐশ্বর্য্যের অধিকারী হয়েও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অসীমের পূজারি। তাই তাঁর উচ্চারণে ছিলো দীর্ঘশ্বাস। এমন রিক্তবোধ উৎসারিত সৃষ্টিকর্মে তিনি পূর্ণ করেছেন বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারকে। অসীমের সন্ধান আর সাধনায় নিজেকেই খুঁজে ফিরেছেন বার বার।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/