‘সম্প্রচার সাংবাদিকতা-১ : পাঠ ও বাস্তবতা’
প্রকাশিত : ২১:২৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১১:৪৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বয়স অর্ধশতাব্দী পার হলেও, টেলিভিশন সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ খুব বেশি তৈরি হয়নি। তাই টেলিভিশনের নানা দিক নিয়ে সুশান্ত সিনহা লিখেছেন ‘সম্প্রচার সাংবাদিকতা-১ : পাঠ ও বাস্তবতা’
এই বইয়ের ওপর আলোকপাত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন। তিনি বলেন, ৮০'র দশক থেকে প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের প্রসার হয়েছে, পরবর্তী সময়ে শুধু সংবাদভিত্তিক চ্যানেলেরও আগমন ঘটে। কিন্তু সংখ্যায় ও বৈভবে বাড়লেও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যে বিনিয়োগের অভাবে সংবাদ পরিবেশনায় বৈচিত্র্য বাড়েনি। মূলত মুদ্রণ মাধ্যম থেকে আসা সাংবাদিকেরাই এখন পর্যন্ত টেলিভিশন সাংবাদিকতা জগতে প্রধান ভূমিকায় আছেন।
টেলিভিশন সাংবাদিকতার জন্য যেমন প্রয়োজন কলা-কৌশল, তেমনই বিকাশ হওয়া দরকার সৃজনশীলতা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সর্বাঙ্গীন সুবিধা সম্পন্ন কোনো ইন্সটিটিউট দেশে গড়ে ওঠেনি, যা দক্ষতা ও সৃজনক্ষমতার বিকাশ ঘটাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগোনা কোর্স এবং গোটা কতক বই এক্ষেত্রে তত্ত্ব ও বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটাতে খুব বেশি সক্ষম হয় না।
এ রকম একটা অবস্থায় টেলিভিশন সাংবাদিকতা নিয়ে একটি প্রায়োগিক পুস্তকের প্রকাশকে স্বাগত জানাই। পাঠ ও কাজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখক সুশান্ত সিনহা নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন বহুবিধ উদাহরণ দিয়ে। প্রায় ম্যানুয়ালের মতো সহজ ভাষায় লেখা এই বইটি টেলিভিশন সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী থেকে সংবাদকর্মী সবার জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালযয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আতিকুর রহমান অভিমত তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের অন্তত ১৫টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গণযোগাযোগ অধ্যয়নের অংশ হিসেবে টেলিভিশন ও টেলিভিশন সাংবাদিকতা পড়ানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ক বাংলা বই একেবারেই হাতেগোনা। আমি মনে করি, এই বইটি সেই অভাব কিছুটা হলেও দূর করবে।
যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসিন উল হাকিম বলেন, মাঠে কাজ করতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি একজন সাংবাদিককে অডিও-ভিজ্যুয়ালি ভাবতে হয়। সেই কাজটা আমরা শিখি অন্যদের দেখে বা নিজেরা কাজ করতে করতে। বিশেষ করে একটি নিউজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একসুরে গাঁথার কাজটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই বইটি থেকে সাংবাদিকরা সেই একসুরে গাঁথার শিক্ষা নিতে পারবে।
বইটি প্রকাশিত হয় ২০২১ সালে। প্রকাশক- ম্যাজিক লণ্ঠন প্রকাশন, মূল্য ১০০ টাকা, প্রচ্ছদ করেছন আইয়ুব আল আমিন।
এসি/