কবি আসাদ মান্নান সংবর্ধিত
প্রকাশিত : ২২:৪৯, ১১ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ২৩:২৩, ১১ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সাউথ সন্দ্বীপ হাই স্কুল প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতি ঢাকা'র উদ্যোগ কবি আসাদ মান্নানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে বাংলা একাডেমির পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে কবিকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াতদের স্মরণে স্মরণসভা ও দোয়া, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্কুলের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী দেশ বরেণ্য কবি আসাদ মান্নানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য শামসুল কবির খান।
এসময় কবি আসাদ মান্নানের জীবন আলেখ্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম যাহিদুল আলম সুমন। এসময় বক্তব্য রাখেন, হোসেন খাদেম, মোহাম্মদ বোরহানউদ্দিন, কামাল পাশা, নুরুল আক্তার মিলাদ, আব্দুল হান্নান।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুরুল আক্তার, কর্নেল দিদারুল আলম বীর প্রতীক, মাইটভাঙ্গা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ডা. এনায়েতু্লাহ খসরু।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশলী সফিকুল আলম ভুঁইয়া, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন খাদেম, প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল কবির, সংবর্ধিত অতিথি আসাদ মানান, প্রিন্সিপ্যাল মনির আহমেদ, ড. ফওজুল কবির খান, আলমগীর, কাজী জিয়াউদ্দিন শওকি।
সাবেক সচিব কবি আসাদ সাউথ সন্দ্বীপ হাই স্কুলের ১৯৭৩ সালের ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমির পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
কবি আসাদ মান্নান ১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৮১ সালে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আসাদ মান্নান ১৯৭০-এর দশক থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-সুন্দর দক্ষিণে থাকে, সূর্যাস্তের উল্টোদিকে, সৈয়দ বংশের ফুল, দ্বিতীয় জন্মের দিকে, ভালোবাসা আগুনের নদী, তোমার কীর্তন, যে-পারে পার নেই সে-পারে ফিরবে নদী, হে অন্ধ জলের রাজা, নির্বাচিত কবিতা, প্রেমের কবিতা।
এছাড়া তিনি সাহিত্য কর্মের জন্য নানান পুরুস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৭৭/৭৮), জীবনানন্দ দাস পুরস্কার (২০০৮), কবিকুঞ্জ পদক (২০১১), কবিতালাপ সম্মাননা ও পদক (২০১৩), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১)।
কেআই//