ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণে নজরুলের শোক

জহিরুল হক

প্রকাশিত : ১২:০১, ৬ আগস্ট ২০২২

১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ, ১৯৪১-এর ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণ হয়। শোকাহত নজরুল তখন ‘রবি-হারা’ ও ‘সালাম অস্ত-‘রবি’ নামে দু’টি কবিতা লেখেন। এ-কবিতা দু’টি যথাক্রমে ১৩৪৮ সালের ভাদ্র সংখ্যা মাসিক ‘মোহাম্মদী’-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 

‘রবি-হারা’ কবিতাটি তখন নজরুল কলকাতা বেতারে নিজে আবৃত্তিও করেছিলেন। কবিতাটি তিনি নিজকণ্ঠে ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’-এ রেকর্ড করেন। রেকর্ড নম্বর এন-২৭১৮৮, সেপ্টেম্বর-১৯৪১। কবিতাটি সর্বপ্রথম মুদ্রিত হয় ১৩৪৮ সালের ভাদ্র সংখ্যা ‘সওগাত’-এ। 

‘রবি-হারা’ কবিতার বক্তব্যে দেখতে পাই- শ্রাবণের আকাশে সূর্য ঢলে পড়লে মেঘগুলো উদাস হয়ে ছুটে আসে। দুপুরের রবিরূপী রবীন্দ্রনাথ ঢলে পড়েছেন, অস্ত পারের কোলে। বিশ্বের রবি, ভারতের কবি রবীন্দ্রনাথ, শ্যাম-বাঙ্লার হৃদয়ের ছবি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছেন, পৃথিবী যেন অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের বিদায়ের রূপটি প্রকৃতির সঙ্গে তুলনা করে নজরুল বলেছেন:

‘দুপুরের রবি পড়িয়াছে ঢলে অস্ত-পথের কোলে
শ্রাবণের মেঘ ছুটে’ এল দলে দলে
            উদাস গগন-তলে,
বিশ্বের রবি, ভারতের কবি;
শ্যাম বাঙ্লার হৃদয়ের ছবি
            তুমি চলে যাবে বলে।’

নজরুল মনে করেন, ধরিত্রী মাতার কান্না শুনেই যেন রোগের ছলনা করে রবীন্দ্রনাথ আঁখি মুদে তাঁর কাছে চলে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের জন্য বাংলার সর্বত্র ব্যথা জেগে উঠেছে। বাংলার সাগর, নদী, অরণ্য, সব তাঁর জন্য কাঁদছে। রবীন্দ্রনাথের লেখনী ধারণ করেছিলেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী, ধ্যানের আসনে ছিলেন শিব, হৃদয়ে ছিলেন প্রেমের দেবতা মদন। যে আনন্দময়ী রবীন্দ্রনাথের সাথে নিত্য কথা বলতেন, তিনি বা তাঁদের কেউ বঞ্চিত মানুষের ব্যথা বুঝলেন না। অথচ তাঁদের কৃপার দান ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাংলার আশা-প্রদীপ, চির অম্লান, চির উজ্জ্বল। নজরুলের প্রশ্ন, কেমন করে তাঁরা তাঁদের কৃপার দানকে দিয়ে আবার নিয়ে গেলেন। নজরুল রবীন্দ্রনাথের গর্বে গর্বিত ছিলেন, তাই পৃথিবীকে মৃৎপাত্রের ঢাকনা বা সরার মতো তুচ্ছ মনে করতেন, ক্লৈব্য-দীনতা-ক্ষুধা-জরা সব ভুলে থাকতেন। মাথার ওপরে সূর্যরশ্মির মতো রবীন্দ্রনাথ নিত্য জ্বলতেন। রবীন্দ্রনাথের গর্বে নজরুল ও অন্যরা এমনই গর্বিত ছিলেন যে, তাঁরা যে ভাগ্যাহত তা কখনো ভাবতেই পারেননি।

যে রবীন্দ্রনাথ ভারত ও বাংলার মানুষকে এত ভালবাসতেন, কোন অভিমানে তিনি তাঁদের এভাবে আঁধারে ফেলে রেখে গেলেন- নজরুল তা ভেবে পান না। শক্তিমানদের মাথার ওপরে পা রেখে দেশ ও জাতির দুর্বল মানুষের অহঙ্কার রক্ষা করার আর কেউ রইল না। রবীন্দ্রনাথের অভাবে ব্যথাহত চাঁদ কৃষ্ণপক্ষের আঁচল টেনে লুকিয়েছে। বাংলার ঘরে ঘরে নর-নারী কাঁদছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গর্বিত নজরুলের উক্তি:

তোমার গরবে গরব করেছি, ধরারে ভেবেছি সরা;
ভুলিয়া গিয়াছি ক্লৈব্য দীনতা উপবাস ক্ষুধা জরা।
মাথার উপরে নিত্য জ্বলিতে তুমি সূর্যে️র মত,
তোমার গরবে ভাবিতে পারিনি: আমরা ভাগ্যহত।’...
‘এত ভালোবাসিতে যে তুমি এ ভারতে ও বাঙ্লায়,
কোন্ অভিমানে তাঁদের আঁধারে ফেলে রেখে গেলে, হায়!
বল-দর্প️ীর মাথার উপরে চরণ রাখিয়া আর
রক্ষা করিবে কে এই দুর্ব️লের সে অহঙ্কার?
হের, অরণ্য-কুন্তল এলাইয়া বাঙ্লা যে কাঁদে,
কৃষ্ণা-তিথির অঞ্চলে মুখ লুকায়েছে আজ চাঁদে!
শ্রাবণের মেঘের আড়াল টানিয়ে গগনে কাঁদিছে রবি,
ঘরে ঘরে কাঁদে নরনারী, ‘ফিরে এস আমাদের কবি!
ভারত-ভাগ্য জ্বলিছে শ্মশানে, তব দেহ নয় হায়!
আজ বাঙ্লার লক্ষ্মীশ্রীর সিঁদুর মুছিয়া যায়!

রবীন্দ্রনাথের দেহটি শ্মশানে জ্বলছে না, জ্বলছে ভারতের ভাগ্য। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণে বাংলার লক্ষ্মীশ্রীর সিঁদুর মুছে যাচ্ছে! প্রাচ্যের কাব্যছন্দ, সুরের সরস্বতী রবীন্দ্রনাথের শ্মশানের শিখায় দগ্ধ করেছে চাঁদের জ্যোতি। রবীন্দ্রনাথ যে সবার এত আত্মীয় ছিলেন, কেউ তা আগে বুঝতে পারেনি। আর তাই কোটি কোটি ব্যথিত অশ্রু-সিক্ত দেহ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। 

নজরুলের প্রশ্ন, যে-রসলোক হতে রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীতে খেলতে এসেছিলেন, সেখানে গিয়ে নিভৃতে সবার কথা স্মরণ করে কাঁদবেন কি না। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাণীর, সুরের চেয়েও নজরুলের কাছে প্রিয় ছিলেন। আর বাংলার সৌন্দর্যের চেয়েও এ বঙ্গভূমিকে তিনি আরো বেশি ভালোবেসেছিলেন। 

নজরুল রবীন্দ্রনাথের কাছে এই আশ্বাস চেয়েছেন যে, সবার হৃদয়ের টানে রবীন্দ্রনাথ যেন নবরূপ নিয়ে আবার ফিরে আসেন। নিজের ভেতর এত রস ছিল অথচ তিনি নীরস-শীর্ণ-ক্ষুধিত মানুষের জন্য কেন কেঁদেছিলেন আর কেনই বা আজীবন প্রেম দিয়ে সবাইকে কাঁদালেন, নজরুল তা জানেন না।

নজরুল শুনেছেন:

‘শুনেছি সূর্য নিভে গেলে হয় সৌরলোকের লয়;
বাঙ্লার রবি নিভে গেল আজ, আর কাহারও নয়।’

বাঙালি ছাড়া এ পৃথিবীতে আর কেউ বুঝবে না যে, কী হারিয়ে গেছে তাদের। বাংলা ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণে হাহাকার উঠবে না। বাংলার মানুষকে নিরাশার আঁধারে ফেলে আশার রবি চলে গেছেন। আর তাই বাংলার বুকে নিত্য তাঁর শ্মাশানের চিতা জ্বলছে। ভূ-ভারত জুড়ে সবাই হিংসা করছে এজন্য যে, আকাশের সূর্য কেমন করে মানুষের রূপ ধরে বাংলার কুঁড়ে ঘরে এসেছিল। রবিহারা অসহায় নজরুলের কামনা:

‘এত বড়, এত মহৎ বিশ্ববিজয়ী মহা-মানব
বাঙ্লার দীন হীন আঙিনায় এত পরমোৎসব
স্বপ্নেও আর পাইব কি মোরা? তাই আজি অসহায়
বাঙ্লার নর-নারী, কবি-গুরু সান্ত্বনা নাহি পায়।
আমরা তোমারে ভেবেছি শ্রীভগবানের আশীর্বাদ
সে আশিস যেন লয় নাহি করে মৃত্যুর অবসাদ।’ 
বিদায় বেলায় রবীন্দ্রনাথের প্রতি নজরুলের শ্রদ্ধার্ঘ্য ও কামনা:

‘বিদায় বেলা চুম্বন লয়ে যাও তব শ্রীচরণে,
যে লোকেই থাক হতভাগ্য এ জাতিরে রাখিও মনে!’

রবীন্দ্রনাথকে তিনি বলেছেন ‘বিশ্ববিজয়ী মহামানব’। বাংলার দীন-হীন আঙিনায় এমন পরমোৎসব স্বপ্নেও আর পাবেন কি না, নজরুল জানেন না। আর সে কারণে বাংলার অসহায় নর-নারী, কোনো সান্ত্বনাই পাচ্ছে না। রবীন্দ্রাথকে নজরুল ও অন্যরা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ মনে করেছেন। কাজেই রবীন্দ্রনাথের সে-আশীর্বাদ যেন তাঁর প্রয়াণের অবসাদ লয় না করে।

রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু পরবর্তী সালাম অস্ত-রবি কবিতায় রবীন্দ্র-মাহাত্ম্য গাঢ় বর্ণে ফুটে উঠেছে। এখানে নজরুল রবীন্দ্রনাথকে কাব্যগীতির শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা, দ্রষ্টা, ঋষি, ধ্যানী ও মহাকবি বলেছেন। এমন মহাকবির মৃত্যুতে সর্বত্র বিপদ নেমে এসেছে।

রবির বিদায়ে এ-ধূলির ধরণী রস যমুনার আর পরশ পাবে না। প্রকৃতি বাণীহীন হয়ে মৌন বিষাদে ভুবনে ও বনে একা কাঁদবে। কবির বিষাদাত্মক উক্তি:

 কাব্য-গীতির শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা, দ্রষ্টা, ঋষি ও ধ্যানী

মহাকবি রবি অস্ত গিয়াছে! বীণা, বেণুকা ও বাণী

নীরব হইল।

রবীন্দ্রনাথের মতো ছন্দের লালিত্য আর কারো লেখায় ফুটে উঠবে না। অপ্রকৃত মদনে মাধবী চাঁদের জ্যোৎস্না দিয়ে রূপায়িত-রসায়িত করে আর কেউ লিখবে না।

নজরুল রবীন্দ্রনাথকে একসঙ্গে অনেক লেখকের সমন্বিত রূপ হিসেবে দেখেছেন। রবীন্দ্রনাথের মধ্য দিয়ে স্রষ্টার শৈল্পিক সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটেছে। তাঁর গান, কবিতায় ছিল সুন্দরের প্রকাশ। কবির উপলব্ধি:

ব্যাস, বাল্মীকি, কালিদাস, খৈয়াম, হাফিজ, রুমী,

আরবের ইমরুল-কায়েস, যে ছিলে এক সাথে তুমি!

সকল দেশের সকল কালের সকল কবিরে ভাঙি,

তাঁহাদের রূপে রসে রাঙাইয়া, বুঝি কত যুগ জাগি,

তোমারে রচিল রসিক বিধাতা অপরূপ সে বিলাস,

তব রূপে গুণে ছিল যে পরম সুন্দরের আভাস।

রবির আলোকেই অন্ধকারভীত দেশবাসী তৎকালীন পরাধীনতা, পীড়ন ও দুঃখ-দৈন্যরাশি ভুলে গিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ যেন ছিলেন ঊর্ধ্বের বরাভয়-স্রষ্টার আশীর্বাদ। আর তাই অনবরত তিনি এ-মৃত জাতিকে অমৃত দান করেছেন। সব দেশের, সব জাতির, সব লোকের শ্রদ্ধা অর্জন করে তিনি বঙ্গভূমিকে ধন্য করেছেন। কবি মনে আর আলো পান না। বাইরের সূর্য দেখে রবীন্দ্রনাথের ছবি তাঁর অন্তরে জেগে ওঠে।

ফুল-পাখি-চাঁদ-সূর্যের যেমন কোনো জাত নেই-সবাই তাদের সমান ভালবাসে, তাদের মতো রবীন্দ্রনাথের খ্যাতি ছিল। যারা মানুষকে আনন্দ রস দেয়, তাদের কোনো ধর্ম বা জাত নেই-তারা সবার। রবীন্দ্রনাথ সে-রকম ছিলেন বলেই তাঁর দরজা সবার জন্য খোলা ছিল। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ নিয়েই তিনি যেন রূপ ধরে এ-পৃথিবীতে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কথাকে অপার্থিব শাস্ত্রীয় বাণীর সঙ্গে তুলনা করে নজরুলের উক্তি:

শত রূপে রঙে লীলা-নিকেতন আল্লার দুনিয়াকে

রাঙায় যাহারা, আল্লার কৃপা সদা তাঁরে ঘিরে থাকে।

তুমি যেন সেই খোদার রহম, এসেছিলে রূপ ধরে,

আর্শের ছায়া দেখাইয়া ছিলে রূপের আর্শি ভরে।

কালাম ঝরেছে তোমার কলমে, সালাম লইয়া যাও,

ঊর্ধ্বে থাকি এ পাষাণ জাতিরে রসে গলাইয়া দাও!

রবীন্দ্রনাথ জীবন নিঙাড়ি ভালবেসেছেন মানুষকে। তাদের শক্তি, সাহস ও আনন্দ দিয়েছেন। তাই তাঁকে হারিয়ে মানুষ কাঁদছে, কাঁদছে স্রষ্টাও যেন।

রবীন্দ্রনাথের ভাব-শিষ্য না হয়েও নজরুল রবীন্দ্র-প্রতিভা ও সাহিত্যের প্রতি বরাবরই ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু তাঁকে গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে মৃত্যু-পরবর্তী কবিতাগুলো শোকাতুর নজরুলের হৃদয়ের স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।

রবীন্দ্রাথের মৃত্যুর পরে বিদায় শীর্ষক ঘুমাইতে দাও শান্ত রবিরে এ-রকম নজরুল একটি গানও রচনা করেছিলেন। ১৩৮৩ সালের ৯ আশ্বিন সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় কল্যাণবন্ধু ভট্টাচার্য নজরুল কণ্ঠ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তাতে তিনি যে-সব রেকর্ডে নজরুলের গান ও আবৃত্তি ধরা আছে, তার একটা তালিকা দেন। সে-তালিকার ঘুমাইতে দাও শান্ত রবিরে গানটি সম্বন্ধে কল্যাণবন্ধু লিখেছেন, নজরুলের ওই গানের সহযোগিতায় ছিলেন ইলামিত্র ঘোষ ও সুনীল ঘোষ। গানটি এইচএমভি-তে রেকর্ড করেন কবি স্বয়ং।

গানের কথায় দেখা যায়, নজরুল বেদনাভারাক্রান্ত হয়ে বলছেন:

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে

জাগায়ো না জাগায়ো না

সারা জীবন যে আলো দিল

ডেকে তাঁর ঘুম ভাঙায়ো না।

গানের অন্যান্য পঙ্ক্তিও বেদনাজাগানো। যিনি (রবীন্দ্রনাথ) রূপ-রস বিলিয়ে দিয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছেন, তাঁকে শান্তির চন্দন দাও, কেঁদে ঘুম ভাঙায়ো না। যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে তেজ, শৌর্য ও শক্তি দিয়ে গেছেন, তা-ই সবাই যেন হাত পেতে নেয়। বিদেহী রবি ও ইন্দ্র সবার জন্য জয় নিয়ে আসবেন। অন্তর দিয়ে সবাই তাঁর জ্যোতি দেখুক। না কেঁদে সে সজ্ঞানেই তাঁকে সবাই প্রণতি জানাক।

রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত নজরুল কবিতা ও গান রচনা করেছেন, নিজের লেখা কবিতা বেতারে আবৃত্তি করেছেন, নিজের লেখা গান রেকর্ডে গেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালে রবীন্দ্র-জন্মোৎসব সভায় যেমন যোগ দিয়েছেন, তার মৃত্যুর পর তেমনি রবীন্দ্র শোকসভায় সভাপতিত্বও করেছেন। ১৩৪৮ সালের ৩০ শ্রাবণ (১৯৪১-এর ১৫ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকায় এ-সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল:

‘গত রবিবার পূর্বাহ্নে সব্যসাচী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এক শোকসভা হয়। কবি কাজী নজরুল ইসলাম সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন।’
লেখক: কবি, কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও অধ্যাপক
এএইচএস/ এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি