মুশফিকা নাজনীনের শিশুতোষ বই ‘প্রজাপতি ও তিতলী’
প্রকাশিত : ১৯:৩১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
মুশফিকা নাজনীনের শিশুতোষ বই ‘প্রজাপতি ও তিতলী’
ছোটবেলায় খেলার পুতুল বাতাসে উড়ে গেলে ছোট মুশফিকা বাতাসের সাথে আপনমনে ঝগড়া করতো, কথা বলতো গাছের সাথে, আকাশের সাথে। বাবা ভাবতেন মেয়ে ব্যারিষ্টার হবে। কিন্তু সেই মেয়ের তখন লেখক হবার সাধ। তার কল্পজগতে খেলা করে- মানুষ, প্রকৃতি, উদ্ভিদ, মাছ, নদী, তারা, আকাশ, ঘাস ফুল আর লজ্জাবতী পাতা।
এদের সাথে কথা বলতে বলতেই বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতো সে। লিখতে গিয়ে কখনওবা মন খারাপ করতো একটা সবুজ পাতা ঝরে যাওয়ার জন্য। কখনও জোনাকী পোকার আলো ধরতে চাইতো সে। কখনওবা ফিসফিস করে কথা বলতো বাসার সামনে কবুতরগুলোর সাথে। পা টিপে টিপে হাঁটতো লাল আর কালো পিঁপড়ে বাঁচাতে।
গল্পগুলো এমনভাবে লেখা হতো, যেন শিশুদের মায়া জন্মায় এই সবুজ পৃথিবীর উপর। একটা প্রজাপতির জন্য যেন এক পৃথিবী ভালবাসা নিয়ে দাঁড়ায় ওরা। এভাবে বলতে বলতে, ভাবতে ভাবতেই লেখা ‘প্রজাপতি ও তিতলী’র গল্প।
এই শিশুতোষ গল্পে, এক বাচ্চা প্রজাপতির শখ হয় পার্লারে গিয়ে পাখার রং পাল্টানোর। মা নিষেধ করে উপদেশ দেন। অভিমানে কাঁঠালিচাপা গাছে গিয়ে বসে সে। তখন তিতলী নামে এক ছোট্ট মেয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। তিতলীর আবদারে মা প্রজাপতির পাখার রঙ পাল্টে দেন। ওর সৌন্দর্য্যে বন্ধুরা মুগ্ধ হয়। একসময় বৃষ্টির ফোটায় প্রজাপতির পাখার সব রঙ মুছে যায়। বিশ্রী দেখায় তাকে। প্রজাপতির খুব মন খারাপ হয়। মায়ের কথা মনে পড়ে- কোনও কৃত্রিমতা নয়, প্রকৃতি যাকে, যেভাবে গড়ে তোলে তাতেই সে হয়ে ওঠে সুন্দর!
‘প্রজাপতি ও তিতলী’ নামের বইটি এবারের একুশে বইমেলায় নিয়ে এসেছে পেন্সিল পাবলিকেশনস। তৌহিন হাসানের প্রচ্ছদে ও পিযুষ বিশ্বাসের অলংকরণকৃত বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা। শিশুতোষ গল্পের বইটি মিলবে মেলার ৩১৪ নম্বর স্টলে।
এনএস/