করোনা দিনের ৩ কবিতা
প্রকাশিত : ১৪:২৯, ১৩ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৪:৩৭, ১৩ এপ্রিল ২০২০
ক্রমশ ছোট হচ্ছে পৃথিবী
আমরা নিজেদের চারপাশে সচেতন বৃত্ত আঁকছি
প্রিয়জন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে ক্লান্ত বিপর্যস্ত,
আমরা,প্রতিমুহূর্তে হারাবার ভয়ে কুকড়ে যাচ্ছি।
তবুও আশায় বাঁচি!
হয়তো সুস্থ্য হয়ে যাবে পৃথিবীর ফুসফুস,
আমরা মুক্ত বাতাসে আনন্দ মিছিলে যোগ দেবো
যদিও মনের কোণে প্রিয়জন হারানোর কষ্ট থাকবে
যদি বেচেঁ যাই, প্রিয়জনের আত্মার উদ্দেশ্য,
অসীম প্রার্থনা নিয়ে দাড়াবো সমাধী সৌধে,
ক্ষমা চাইবো, অন্তিম মুহূর্তে পাশে না থাকার অপারগতায়!
আলিঙ্গন
তোমাকে নি:শেষ করে দিতে বেশি কিছু করবো না,
বুলেট কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র কিছুই ব্যবহার করবো না,
শুধু একবার ভালোবেসে করবো আলিঙ্গন
তারপর, তারপর শুধুই ইতিহাস।
ক্রমশ বাড়বে শরীরের উত্তাপ কণ্ঠনালি চেপে ধরবে অচেনা হাত
সবটুকু অক্সিজেন উধাও হবে তোমার পৃথিবী থেকে।
এই খুনের অভিযোগে আমার ফাঁসি হবে না
হবে না দীর্ঘ হাজত বাস।
তবে সময় গড়াতে গড়াতে জেনে যাবে পৃথিবী
কি নিদারুণ নিষ্ঠুরতায় পুষে রেখেছিলাম বিষের বারুদ।
খোলা চিঠি
যদি বেঁচে যাই এই মহামারী থেকে
গোলাপী ডলফিনের ভীড়ে নিজেকে খুঁজে নেবো
বালুকাবেলা ধরে হেঁটে যাবো সাগরলতার সাথে।
সত্যি বলছি বেঁচে যাবার আনন্দে
ক্ষমা করে দেবো সবচেয়ে বড় শত্রুকেও।
যদি বেঁচে যাই মানবিক গল্পে ভরে উঠবে ফেসবুক,
বিনা চিকিৎসায় স্বজনের মৃত্যুর অভিযোগে
অভিযুক্ত করবো না কাউকে।
যদি বেঁচে যাই, খাঁচায় বন্দী প্রিয় পাখিটাকে
উড়িয়ে দেবো দুর নিলীমায়
মহামারী বুঝিয়েছে বন্দীত্বের কষ্ট।