কোরেশী ও খোন্দকার মোজাম্মেল সাহসী সাংবাদিকতার অগ্রপথিক ছিলেন
প্রকাশিত : ২০:১৭, ১৮ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২০:২৫, ১৮ নভেম্বর ২০২০
রাজধানীতে এক স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, ফেনী সময় সময় দেশকে অনেক বড় বড় সাংবাদিক উপহার দিয়েছে, যারা পুরো সাংবাদিক সমাজকে আলোকিত করেছেন। বাংলার গণমাধ্যমে তারা একেকজন ছিলেন অগ্রপথিক। সদ্য প্রয়াত ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী ও খোন্দকার মোজাম্মেল হক ছিলেন তাদের অন্যতম। তারা ছিলেন জ্ঞানভিত্তিক সাহসী সাংবাদিকতার অগ্রপথিক। তাদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে।
প্রবীণ সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী ও খোন্দকার মোজাম্মেল হকের স্মরণ সভায় বক্তারা একথা বলেন।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’ তাদের দুই উপদেষ্টার সম্মানে এই সভার আয়োজন করে।
ফোরামের সহসভাপতি আমানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ভূ্ইঁয়ার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, ফোরামের উপদেষ্টা দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, ফোরামের উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএএফইউজের সভাপতি এম, আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, এবি পাটির সদস্য সচিব ও দিগন্ত টিভির ডিইডি মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর সহধর্মিনী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিলুফার পান্না কোরেশী, বড় মেয়ে ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম চৌধুরী, ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, সাপ্তাহিক আজকের সুর্যোদয়ের নির্বাহী সম্পাদক খোন্দকার বেলায়েত হোসেন ও খোন্দকার মোজাম্মেল হকের ভ্রাতুষ্পূত্র খোন্দকার তারেক রায়হান।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ড. কোরেশী ছাত্র জীবনে ছিলেন মেধাবী ছাত্র নেতা। জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির চর্চার পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও দিকপালের ভূমিকা পালন করে গেছেন। অনুকরণীয় অনুসরণীয় দীপ্ত প্রদীপ রেখে গেছেন। তিনি তার অনুসারীদের মধ্যে কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। ‘গেদুচাচার খোলাচিঠি’ কলামের মাধ্যমে খোন্দকার মোজাম্মেল হক গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে কাজ করে গেছেন। তার বিত্ত ছিল না, কিন্তু চিত্ত দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে গেছেন।
ডেইলি অবজাভার সম্পাদক আরো বলেন, ফেনী এক সময় বহু সাংবাদিক উপহার দিয়েছে। সময় সময় তারা বাংলার সাংবাদিক সমাজকে আলোকিত করেছেন। বাংলার গণমাধ্যমে তারা একেকজন ছিলেন অগ্রপথিক। কিন্তু সেই ধারা যেন আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে সেটা উদ্ধার করতে হবে। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী ফেনীবাসী সাংবাদিকদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে, নতুনদের সাংবাদিকতায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে খোন্দকার মোজাম্মেল হক মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৫ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী মৃত্যুবরণ করেন গত ৩১আগষ্ট।
এসি