ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

তোয়াব খানের মরদেহে শ্রদ্ধা, প্রেস ক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০২২

দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হয়। 

এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তোয়াব খানকে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্যালুট জানান।

পরে বেলা সাড়ে ১২টার সময় তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে সম্মাননা ও জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হবে। বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে ছোট মেয়ে এশা খানের কবরে দাফন করা হবে তোয়াব খানকে। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে তোয়াব খানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্য নতুন পুরোনো সহকর্মীরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের হাতে খড়ি ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

১৯৫৩ সালে সাংবাদিকতায় আসা তোয়াব খান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

দেশের প্রথম প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তোয়াব খান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। সে সময় তাঁর আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি