টিভিএফবি করোনাযোদ্ধা অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সোহেল
প্রকাশিত : ২২:৪৮, ২৩ জুন ২০২৩
দেশে করোনাকালীন সময়ে যারা সমাজে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে টেলিভিশন দর্শক ফোরাম অব বাংলাদেশ (টিভিএফবি)। করোনার সময়ে বেসরকারিভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশের প্রথম করোনার বুথ স্থাপন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), অ্যাম্বুলেন্স সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রদান, বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তি করিয়ে সেবা প্রদানসহ সাংবাদিক সমাজের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলকে করোনাযোদ্ধা অ্যাওয়ার্ড প্রদাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে করোনায় দেশের স্বাস্থ্যখাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে বিশেষভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে টিভিএফবি স্টার অ্যাওয়ার্ডও প্রদান করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক করোনাযোদ্ধা এবং বিভিন্ন শাখায় অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন টেলিপাব’র সভাপতি মনোয়ার হোসেন পাঠান এবং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সিরাজ।
করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো করেছে। বিশ্বে প্রথম এবং এশিয়ায় প্রথম স্থান হয়েছে। যখন অন্যান্য দেশ কোভিড টিকাই পায়নি, কিন্তু আমরা তখন কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির খুবই আলোচিত ছিল, রেমডিসিভির বের হওয়ার ১০ দিনেই আমরা নিয়ে এসেছি। প্রতিটি রেমডিসিভির কোর্সের মূল্য ৫০ হাজার টাকা, আমরা প্রতিটি কোর্স বিনামূল্যে দিয়েছি। আমরা একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত টিকাও দিয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো তালাবদ্ধ করে পালিয়েছিল, আমাদেরকে তাদেরকে আবারও আনতে হয়েছে। কোভিড মোকাবিলা করতে কষ্ট হয়েছে, তবে সমালোচনাও হয়েছে। আমরা নিজেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের চিকিৎসক-নার্স, গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। সবমিলিয়েই আমরা সফলভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি। মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, করোনাকালে মানুষ ছিলো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সে এক উৎকণ্ঠার জীবন। কেউ যেনো কারো নয়। সেই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তারা অনন্য। এই ধরণের মহামারীর সময়ে যারা সমাজের পাশে থাকেন তারা আসলেও ব্যতিক্রম। তাদেরকে সম্মানিত করাটাও সম্মানের।
অনুষ্ঠানে বিপন্ন মানুষের জন্য অবদান রাখা সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের করোনাযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। করোনাযোদ্ধা হিসেবে যারা সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি এম এম রাশেদ রাব্বি, নিউ এজ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এবং রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ, এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জসিম উদ্দিন খান (চেয়ারম্যান, সঙ্গে আছি ফাউন্ডেশন)।
এছাড়া অন্যান্য শাখায় যারা পুরস্কার পেয়েছন তারা হলেন গীতিকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছন দৈনিক যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক, ফিরে দেখা ছবি পরিচালনার জন্য রোজিনা, মনোয়ার হোসেন ডিপজল, খোরশেদ আলম খসরু (প্রযোজক, গলুই), এস এ হক অলিক (পরিচালক, গলুই), শাকিব খান (অভিনেতা, গলুই), পুজা চেরি (অভিনেত্রী, গলুই), গোলাম আজাদ খান (কাহিনীকার, শান), আব্দন নুর সজল (জ্বীন)। সেরা সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী, আলোচিত সঙ্গীত শিল্পী আজাদ খান, ফোক সঙ্গীত শিল্পী ইসরাত জাহান জুঁই, গীতিকবি এনামুল কবির সুজন। সেরা পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলু (শিক্ষিত বউ), সেরা অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন (ড্রিম গার্ল), ওটিটি প্লাটফরমে সেরা পরিচালক এমদাদুল হক খান (কিপ্টা শশুর), সেরা চিত্রগ্রাহক মনির হোসেন (মিঠু মনির) (কিপ্টা শশুর)। আরো কয়েকটি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়। মানবসেবায় পুরস্কার পেয়েছেন শফিকুল আলম মিলন (ডক্টরস টিভি)। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিলো এটিএন বাংলা এবং ইভেন্ট পার্টনার ইনবক্স কমিনিউকেশন।
কেআই//