ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

এই দিনে বিএনপি-জামাতের চক্রান্তে বন্ধ হয়েছিল একুশের সম্প্রচার

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ২৯ আগস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১৩:৪৩, ২৯ আগস্ট ২০২৩

জন্মলগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে একুশে টেলিভিশন গণমানুষের আস্থা অর্জন করলেও দুই বছরের মধ্যেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। ২১ বছর আগে ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালিন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের চক্রান্তে বন্ধ করে দেয়া হয় একুশের সম্প্রচার। এর মাধ্যমে খর্ব হয় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রুদ্ধ হয় মুক্তচিন্তা চর্চার পথ।   

পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, বাঙালির চিরায়ত উৎসব বাংলা নববর্ষের দিনে একুশে টেলিভিশনের যাত্রা। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম বেসরকারি টেরিস্টোরিয়াল ও নতুন প্রজন্মের টেলিভিশন।

যাত্রা শুরুর পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান দিয়ে কোটি বাঙালির মন জয় করে একুশে টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের জয়গান, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বলিষ্ঠ দাবি, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলো একুশে । 

২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর পরই বিএনপি-জামাত জোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয় একুশে টেলিভিশন। 

একুশের সম্প্রচার বন্ধ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। একুশের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক, কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরকেও নানাভাবে নাজেহাল করা হয়।  

জন্মলগ্ন থেকেই একুশে টেলিভিশন গণমানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলো বলেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছিলো বিএনপি-জামাত জোট। ইটিভি বন্ধের প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মানুষ। সারাদেশেই রাস্তায় নেমে আসে তারা।  

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০০৫ সম্প্রচারের বৈধতা দেন আদালত। কিন্তু সম্প্রচার নিয়ে চলে নানা টালবাহানা। ২০০৭ সালে আবারো আলোর পথে যাত্রা করে একুশে।

ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেই পথ চলছে একুশে টেলিভিশন। একুশে মানে মাথা নত না করা। 
 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি