একুশে টেলিভিশনের তিন যুগে পদার্পন
প্রকাশিত : ১৪:১১, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
‘পরিবর্তনে অঙ্গিকারবদ্ধ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশন দুই যুগ পেরিয়ে ২৫ বছরে পদার্পণ করলো।
এদিন সকাল থেকেই একুশে টেলিভিশন প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে টেলিভিশনের কর্মী এবং অতিথিদের উপস্থিতিতে। দুপুর ১২ টার সময় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এ. চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংসদ আরমা দত্ত, ঢাকা দশ আসনের সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, ইসলামি ব্যাংকের ব্র্যান্ডিং বিভাগের প্রধান মো. নজরুল ইসলাম, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব মামুল আল মাহমতাব স্বপ্নীল, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট এসোসিয়েশনের প্রসিডেন্ট সাইদুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া ও রফিকুল ইসলাম, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সভাপতি সৌম্যব্রত, কলকাতা বাংলা পোর্টাল 'বাঙ্গালী নামা'র কর্ণধার সোনালি পাল, এটিএন বাংলার পরিচালক তাশিক আহমেদ, র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খোন্দকার মুহিত উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট অভিনেত্রী জয়শ্রী কর জয়া এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রাশেদ চৌধুরী, উপ বার্তা প্রধান সাইফ ইসলাম দিলাল, প্রধান বার্তা সম্পাদক ড. অখিল পোদ্দার, অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাশেদ আলী, বার্তা সম্পাদক দেবাশিষ রায়, জ্যেষ্ঠ বিজনেস এডিটর আতিয়ার রহমান সবুজ, বিপনন বিভাগের প্রধান মো. ফেরদৌস নাইম পরাগ, অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান সাইফ আহমেদ, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) নাসিম হোসেন, সম্প্রচার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সুজন দেবনাথ হিসাব বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আব্দুর রউফসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
এসময় অতিথিরা বলেন, একুশে টেলিভিশনের তিন যুগে পদার্পণ করাটা খুব সহজ ছিলনা। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই গণমাধ্যমটিকে রুখে দিতে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। একুশে টেলিভিশন তার আপন গতিতে এগিয়ে এসেছে আজকের এই মুহূর্তে।
এসময় পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নববর্ষের প্রথম দিনে চব্বিশ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল গণমানুষের সম্প্রচারমাধ্যম একুশে টেলিভিশন। পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ একুশের দৃপ্ত শপথ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ গড়া। আমাদের প্রত্যয় দূর করেছে জীর্ণতা, অবক্ষয় আর কুসংস্কার। আগামী দিনেও নবজাগৃতির নন্দিত বাংলাদেশের ছবি আঁকবে একুশের ক্যানভাস। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে প্রীতি ও শুভেচ্ছার মাধ্যমে অগণিত দর্শক, বিজ্ঞাপনদাতা, কলাকুশলী, কেবল অপারেটরদের জানাই নিরন্তর ভালোবাসা।"
এর আগে জন্মদিনের এই শুভক্ষণকে স্মরণ করে একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে মুক্ত চিন্তার খোলা জানালা।’ একুশের এই চেতনা লালন করে ২৫ বছরে পা রাখলো প্রতিষ্ঠানটি। দিনটিকে আরো রঙ্গিন করতে একে একে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয় একুশে পরিবার।
সাহসী সংবাদ ও জনপ্রিয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে চ্যানেলটি পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বিশিষ্টজনেরা।
এমএম//