আজ একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিক
প্রকাশিত : ২১:০৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮
দেশের বেসরকারিখাতে টেলিভিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা ও একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ. এস. মাহমুদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিক আজ। মুক্তমনা এই মানুষটি সিলেটের এক অভিজাত পরিবারে ১৯৩৩ সালের ১০ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি প্রবাসে মারা যান।
তার নাম আবু সাইয়ীদ মাহমুদ তবে তিনি এ.এস.মাহমুদ নামে পরিচিত। তার মতো করে অন্তর থেকে বাংলাদেশকে লালন করার শক্তি আর ক’জনের ছিলো, তা হয়তো হাতে গুনে হিসেব করতে হবে। তাইতো “পরিবর্তনে অঙ্গিকারাবদ্ধ”-এমন শ্লোগানে প্রতিষ্ঠা করলেন একুশে টেলিভিশন।
শুধু বাংলাদেশের জন্যেই নয় উপমহাদেশের প্রথম বেসরকারি মালিকানায় টেরিস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল হলো একুশে টেলিভিশন।
যার হাত ধরে ২০০০ সালে এ চ্যানেল শুরু হলো তিনি হলেন এ এস মাহমুদ। এক ঝাক তরুণ সংবাদ কর্মী ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের নিয়ে, একুশে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশবাসী প্রবেশ করে, সংবাদ আর বিনোদনের এক নতুন দিগন্তে। তথ্য জানার জন্য মানুষের সামনে একুশে খুলে দেয় এক নতুন জানালা।
যার ভাবনায় শুধুই বদলে দেবার স্বপ্ন, তিনি তো নিরন্তর ছুটে চলেছেন তার সকল শক্তি নিয়ে। তবে পরাস্ত হন অপশক্তির কাছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ২৯ আগষ্ট একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হলে, এ এস মাহমুদ চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখানেই ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
শুভানুধ্যায়ীরা এখনও মনে করেন, এমন এক মানুষের মৃত্যু বাংলাদেশের বাইরে হবার কথা ছিল না। ধীরে ধীরে সেই সত্য উন্মোচিত হয়েছে যে, একুশ, একাত্তর শব্দগুলো যাদের পছন্দ নয়, তারাই একুশে বন্ধ করেছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে একুশে টেলিভিশন এক বিপ্লবের নাম, যার বীজ বুনেছিলেন এ এস মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর উল্টোপথে চলা বাংলাদেশকে আবারো নিজস্ব সংস্কৃতির ধারায় ফেরাতে এই একুশেই ছিল তার শানিত অস্ত্র।
১৯৯১ সালের ১৪ জানুয়ারি আবু সাইয়ীদ মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার। ছিলেন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী রেডিও ‘মেট্রো ওয়েভের’ প্রতিষ্ঠা তার হাত ধরেই।
আজীবন স্বপ্নবান এই মানুষটিকে একুশে পরিবারের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
এম