আজ একুশে টেলিভিশনের ১৯তম জন্মদিন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৮:৫৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ০৯:১৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৮
বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন পা রাখলো ১৯ বছরে। শুরুর লগ্নেই একুশে সৃষ্টি করেছিল ইতিহাস। তবে, চলার পথ মসৃন হয়নি। সব সংকট পায়ে দলে একুশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বারবার। ১৯ শে পা রাখার এই দিনে একুশেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিশিষ্টজনেরা।
২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু বেসরকারি খাতে প্রথম টেরিস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন একুশে টেলিভিশনের।
প্রতিষ্ঠার পর ২৮ মাস একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি দর্শকের মন।
কিন্তু সাড়া জাগানো এই চ্যানেলটি ২০০২ সালে আইনি জটিলতার অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একুশে শিকার হয় প্রতিহিংসার রাজনীতির।
একুশে টেলিভিশন বন্ধের পর বছরের পর রাজপথে ছিল সে সময়ের একুশের সাংবাদিক, কর্মী, কলাকুশলীরা, সঙ্গে ছিলেন শুভানুধ্যায়ীরা। ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও সরকার যতটা দ্রুত বন্ধ করেছিল, খুলে দিতে সেই দ্রুত দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে আবারও সম্প্রচারের আসার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করে পা রাখলো ১৯ বছরে। একুশের জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে কামনা করেছেন একুশের সাফল্য। গণমানুষের উন্নয়নে ভূমিকার রাখারও আহবান জানিয়েছেন।
সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী-যিনি প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন আজকেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী। জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং সুস্থ বিনোদনে একুশের ভূমিকা রাখার আশাবাদও বঙ্গবন্ধু কন্যার বাণিতে।
একুশের পথচলার এই লগ্নে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে বলেছেন, দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে একুশে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
একুশে টেলিভিশনের মালিকপক্ষও চান, ১৯ বছরে পা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংবাদ ও অনুষ্ঠান দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের পাশে দাঁড়াবে চ্যানেলটি।
প্রতিষ্ঠাকালীন একমাত্র টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল বর্তমানে স্যাটেলাইটে দেখেন দর্শকরা। একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, দক্ষ কর্মী ও উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
সংবাদ-বিনোদনে দেশের কোটি দর্শকের স্বপ্নপুরণের চ্যানেল হয়ে উঠবে একুশে টেলিভিশন- এমন প্রত্যাশা সবার।