শোক বইয়ে সাংবাদিক মামুন
প্রকাশিত : ২৩:৪৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
একুশে টেলিভিনের সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশীদের অকাল মৃত্যুতে মিডিয়া অঙ্গনে চলছে মাতম। তার অকালে চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছেন না তার দীর্ঘদিনের বন্ধু-সহপাঠী, স্বজন ও কর্মস্থল একুশে টেলিভিশনের সহকর্মীরা। আর তাই স্বজন হারানো বেদনা বুকে নিয়ে শেষ বারের মতো মামুনকে এক নজর দেখতে একুশের আঙ্গিনায় ছুটে আসে হাজার হাজার মানুষ।
তার প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষের চোখে মুখে গভীর বেদনার ছাপ। অনেকে নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধুই চোখের জল ফেলেছেন।
সোমবার রাত ১১টায় রাজধানীর হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মামুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে, তাকে নিয়ে শুরু হয় মাতম। সেই সঙ্গে স্বজনরা আবিরাম লিখে চলেছেন স্মৃতিচারণ। শোকের মুহূর্তে একুশে টেলিভিশনে খোলা হয়েছে শোক বই।
মামুনকে নিয়ে তাদের শোকগাঁথা অনুচ্চারিত শব্দগুলো একুশে টেলিভিশনের শোক বই থেকে তুলে ধরা হলো-
এশিয়ান টিভি চিফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পলাশ লিখেছেন, ‘মামুন জন্মদিনে তোমার এভাবে চলে যাওয়া বেদনার। আল্লাহ তোমাকে জান্নাতের উচ্চস্থান দান করুন। আমিন।
আর টিভি’র রিপোর্টার মাশায়েল অমি লিখেছেন, জন্মদিনে এভাবে চলে গেলেন এ রকম দুঃখজনক মৃত্যু যেন আর কারো না হয়। মিডিয়া চ্যানেল গুলো আপনার কাছ থেকে আরও কিছু পেতে পারতো। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসি করুন। আমিন।
বাংলা ভিশনের ক্যামেরা পারসন ফজলুল হক লিখেছেন, তুমি ছিলে, তুমি নেই। তুমি থাকবে, আমার খুব কাছে।
সঙ্গীত শিল্পী কনিকা দে লিখেছেন, আপনাকে অনেক ভালোবাসি।আপনি ছিলেন আছেন।
বাংলাভিশন সাংবাদিক মুহিবুল্লাহ মুহিব লিখেছেন, তুমি চলে যাওয়ার মিডিয়া অঙ্গনের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। তোমাকে মিস করবো।
মাই টিভির স্টাফ রিপোর্টার রাকিব হাসান লিখেছেন, আগের দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে পাশাপাশি দুই ভাই এক সঙ্গে বসেছিলাম। পর দিন রাতে তুমি চলে গেলে না ফেরার দেশে। মানতে পারছি। ভালো থেকো।
এস এ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদুল হাসান নিবিড় লিখেছেন, জন্মদিনে বড্ড অভিমান ছিল ভাইটি আমার। তুই বুঝি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলি। যেখানে থাকো ভালো থাকো।
উপস্থাপিকা ইরা শামস লিখেছেন, জন্ম নিলে মৃত্যু অনিবার্য। তবু ভাই আপনার অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছি না। আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই। দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে বেহেশত দিন। আমিন।
চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান লিখেছেন, মামুন। ভাই আমার। কখনও দূরতম কল্পনাতেও আসেনি যে তোমার শোক বইয়ে এই আমাদের লিখতে হবে। ভালো থেকো ভাই।
ক্যামেরা ম্যান মইনুল হোসেন মাসুদ লিখেছেন, জন্ম নিলেই মৃত্যু অবধারিত। তারপরও অসময়ে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না, তবুও মানতে হবে এটাই নিয়ম। আপনাকে আল্লাহ জান্নাতবাসি করুন। আমিন।।
সিনিয়র রিপোর্টার জে ইউ জুবায়ের লিখেছেন, তার মৃত্যুতে শোকাহত। বলার ভাষা নেই। এই মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো না।
একুশে টেলিভিশনের সাবেক হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী লিখেছেন, মামুন, তুই জীবন্ত হয়ে থাকবি। তোর হাসি মাখা মুখ নিয়ে।
এ ছাড়া আরও অসংখ্য সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক মামুনুরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মৃত্যু অমোঘ, এঁড়ানোর সাধ্য নেই কারও। কিন্তু তার এই অকালে চলে যাওয়া নাড়িয়ে দিয়ে যায় আমাদের আবেগ-অনুভূতিকে। নশ্বর এ পৃথিবীতে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, তা যেন মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন মামুন।
কেআই/এসএইচ/