‘সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখবে একুশে টেলিভিশন’
প্রকাশিত : ১১:৩২, ২২ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৭:০১, ২৪ জুন ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখবে একুশে টেলিভিশন বলে মন্তব্য করেছেন টেলিভিশনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সারাদেশের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, ‘একুশে টেলিভিশন বাংলাদেশ, বাঙালির চেতনা বহন করে। একুশে টেলিভিশন বাংলাদেশের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর চেতনা বহন করে। একুশে কাজ করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি এই একুশে টেলিভিশনের পথযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ্ররপরে একুশে টেলিভিশন আবার ফিরে এসেছে। এতোদিনে একুশে টেলিভিশন সবার উপরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি আমরা সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখতে পারব।’
ইটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। কিন্তু শহর বানানোর কাজ তো করবে সাধারণ জনগণ। আর জনগণকে পথ প্রদর্শন করবে মিডিয়া। আমরা এই পথ প্রদর্শনের কাজ করে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাজ করে যাবে একুশে টেলিভিশন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় ভূমিকা রাখবে একুশে টেলিভিশন।
প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরকে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা মনে ধারণ করে কাজ করে যেতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
এর আগে সকাল ১০টায় সারাদেশের একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘প্রতিনিধি সম্মেলন’ শুরু হয়। প্রতিনিধিদের দিক নির্দেশনা প্রদান এবং তাদের পরামর্শ জানতে এ সম্মেলনের আয়োজন করে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়াও উপস্থিত আছেন টেলিভিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
সকাল দশটায় অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন একুশে টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মোহসীন আব্বাস।
দিনব্যাপি এ সম্মেলনকে কয়েকটি অধিবেশনে ভাগ করা হয়েছে। এ অধিবেশনগুলোয় প্রতিনিধিদেরকে মৌলিক কর্মশালায় প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। এছাড়া একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা প্রতিনিধিদের দিক নির্দেশনা করবেন।
সকাল সাড়ে এগারোটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আলী শিকদার ও বার্তা প্রধান মোহসীন আব্বাস এ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
এ সময় সারাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের পরামর্শ শুনবে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। মধ্যাহ্নের বিরতির পর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান সাংবাদিকতা ও পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক একটি কর্মশালায় প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
এরপর দেবাশীষ রায়, আরিফ রেজা মাহমুদ, আফসানা নীলা স্ত্রিপ্ট রাইটিং ও উচ্চারণের বিষয়ে প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। পিটিসি, ফোনো ও লাইভ নিয়ে অখিল পোদ্দার, প্রণব চক্রবর্তী, রত্না জামান কথা বলবেন। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের বিষয়ে কথা বলবেন অনলাইনের ইনচার্জ ও টেলিভিশনের প্লানিং এডিটর সাইফ ইসলাম দিলাল এবং রঞ্জন সেন।
এছাড়া জেলা, এন. ডেস্ক ও সেন্ট্রাল ডেস্ক নিয়ে সমন্বয় করবেন নূরুর রহমান, বুলবুল চৌধুরী, মাসুমা লিসা। প্রডাকশনে রহমান লেনিন, ক্যামেরা ও ভিডিও এডিটিং-এ ফারুক হোসেন তানভীর, কামরুজ্জামান চঞ্চল, আশরাফুল ইসলাম কথা বলবেন। এছাড়া আইটিতে আরিফুল ইসলাম ইমন ও মার্কেটিং নিয়ে কথা বলবেন আলমগীর কবির।
সবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে বার্তা প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত থাকবেন।
একুশে টেলিভিশন বা ইটিভি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র। ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল ইটিভি সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমদিকে এটি উন্মুক্ত টেরিষ্টোরিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে সম্প্রচার শুরু করে। টিভি চ্যানেলটির খবরে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব থাকার কারণে দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।