‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় এগিয়ে একুশে টেলিভিশন’
প্রকাশিত : ১২:৫০, ২২ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৪৬, ২৪ জুন ২০১৯
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও নিরপেক্ষ তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে একুশে টেলিভিশন।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একুশে টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় প্রতিনিধি সম্মেলন অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে এটা বিশ্বের দরবারে জানান দিতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনাদের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প।
মন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই জনমত গঠিত ও প্রভাবিত হয়। শুধু বিভাগীয় বা জেলা শহরগুলোতেই নয়, বরং উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সাংবাদিকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এসব সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে আপনাদের সঠিক ও বস্তনিষ্ঠ তথ্য দিতে হবে। তাহলে আপনাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। আর উন্নয়নশীল মুসলমান দেশগুলো যখন উন্নতি করে তখন অনেক দেশ থেকে বাধা আসে। সারাবিশ্বের মধ্যে উন্নতশীল দেশ ছিল ইরান। দেখেন, আজ তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং যে দেশ উন্নয়ন করে সে দেশের কিছু সমস্যাও থাকে। আমাদের দেশেও কিছু সমস্যা আছে। এগুলোকে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আপনারা হলেন জাতির বিবেক, সামাজের তৃতীয় চোখ। তাই আপনাদের সমাজ পরিবর্তনে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে যখন একুশে টিভি বন্ধ হয় তখন একুশে টিভির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আল মাহমুদ অসুস্থ। আমি দেখতে গেলাম তাকে, উনি তখন বললেন, আমি পরাধীন খালেদার দেশে আর যাবো না। সত্যিই তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এধরনের দৃষ্টান্ত খুব কম মানুষের আছে।
তিনি বলেন, একুশে টিভি সারাদেশের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনেক মানুষ বাংলাদেশ সর্ম্পকে জানতো না। একুশের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফল্যের গল্পগাথা ইতিহাস উঠে এসেছে। একুশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আত্মার।
এর আগে সকাল দশটায় অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন একুশে টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মোহসীন আব্বাস। এরপর সমৃদ্ধ মফস্বল সাংবাদিকতার অনন্য অবদানের জন্য একুশে টেলিভিশনের তিন জেলা প্রতিনিধিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধির পুরস্কার দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধির পুরস্কার পাওয়া প্রতিনিধিরা হলেন- গাজীপুর প্রতিনিধি অপূর্ব রায়, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্তী এবং সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন মির্জা।
দিনব্যাপি এ সম্মেলনকে কয়েকটি অধিবেশনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদেরকে মৌলিক কর্মশালায় প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। এছাড়া একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা প্রতিনিধিদের দিকনির্দশনা প্রদান করবেন।
একুশে টেলিভিশন বা ইটিভি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র। ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল ইটিভি সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমদিকে এটি উন্মুক্ত টেরিষ্টোরিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে সম্প্রচার শুরু করে। টিভি চ্যানেলটির খবরে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব থাকার কারণে দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
টিআর/