ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হ্যালো লিডারে আজ মুখোমুখি ভোলার সাংসদ আলী আজম মুকুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০১, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ক্ষমতায়নের পর নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে প্রশ্নের শেষ থাকে না। ভোটের পর বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিই বদলে যান। জনসম্পৃক্ততার পরিবর্তে তৈরী হয় জনবিচ্ছিন্নতা। নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে একুশে টেলিভিশন শুরু করেছে ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান ‘হ্যালো লিডার।’ 

আজ রোববার রাত ১০টায় লিডারের আসনে থাকছেন ভোলা-২ আসন অর্থাৎ বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল। তিনি দু’ দুবারের এমপি। ২০১১ সালে তিনি দৌলতখান পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তাঁর বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ। জননেতা তোফায়েল আহমেদ তাঁর চাচা। তাঁর ফুপাত ভাই মনিরুল ইসলাম ভোলা পৌরসভার মেয়র। এমপি মুকুলের ছোটভাই মঈনুল হোসেন বিপ্লব ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক। সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এমপি আলী আজম মুকুল তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কতোটুকু পূরণ করেছেন তার চুলচেরা বিশ্লেষণ উঠে আসবে হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানে। 

অনুষ্ঠানটি পুণ:প্রচার হবে রাত ২টা ও আগামীকাল সোমবার সকাল ৭টায়। জবাবদিহিতামূলক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন গণমানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দার। হাসান শহিদ ফেরদৌস আছেন প্রযোজক হিসেবে। 

ড. অখিল পোদ্দারের পড়ালেখা বাংলা সাহিত্যে। মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেনীতে প্রথম স্থান অর্জনকারী অখিল পি.এইচডি. করেছেন বুদ্ধদেব বসুর নাটক: বিষয় বিবেচনা ও জীবনকর্ম নিয়ে। দৈনিক জনকণ্ঠ ও ভোরের কাগজের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। সেখানকার প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। পরবর্তীতে ভোরের কাগজ ও জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন রাজনৈতিক বিটে। গেল ১২ বছর ধরে কাজ করছেন একুশে টেলিভিশনে। অপরাধ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নতুন একটি আবহ তৈরী করেছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি, লাল ফিতার দৌরাত্ম-এসব নিয়ে জনদুর্ভোগ শিরোনামে তিনি বিশেষ প্রতিবেদন করছেন এক দশক ধরে। 

একইসঙ্গে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা, সামাজিক অপরাধ, অনিয়মের আদ্যোপান্ত প্রতিনিয়ত একুশের পর্দায় তুলে ধরে অর্জন করেছেন যথেষ্ট জনপ্রিয়তা। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য পেয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সেরা রিপোর্টের জন্য স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার। উপকূলবাসীর কঠোর সংগ্রাম আর বেঁচে থাকার লড়াই নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট করেছেন জনকণ্ঠ পত্রিকায়। পেয়েছেন শেরে বাংলা ফজলুল হক স্মৃতি পদক। সেরা ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে এ ওয়ান মিডিয়া এওয়ার্ডও পেয়েছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপার চরাঞ্চলের জীবনযুদ্ধ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘চরের জীবন চরের জমি’র জন্য পেয়েছেন মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার। সমাজের গুচ্ছ অপরাধের শেকড় সন্ধান করায় টেলিভিশন মাধ্যম থেকে প্রথমবারের মতো পেয়েছেন পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কার-২০১২। 

এভাবেই পুরস্কারের ঝুলিতে জুটেছে ইউনেস্কো পুরস্কার, সেরা টিভি রিপোর্টার হিসেবে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ফোবানার (ফ্লোরিডা) বাঙালি এওয়ার্ড, নিউ ইয়র্ক শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা,  বাংলাদেশের সেরা টিভি রিপোর্টার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি সম্মাননা।  আমেরিকাপ্রবাসীদের জীবনযুদ্ধ আর প্রতারণার নানা কৌশল নিয়ে রিপোর্ট করায় আটলান্টা-জর্জিয়ার প্রবাসী সম্মাননা পেয়েছেন ২০১১ সালে। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকদের জীবনযুদ্ধ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পেয়েছেন সংযুক্ত আমির আমিরাতের শারজাহ বিজনেস কমিউনিটি সম্মাননা। তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের অধিকার ও জীবনযন্ত্রণা নিয়ে কাজ করেছেন নিউ ইয়র্ক, জর্জিয়া, বোস্টন, টেক্সাস ও ওয়াশিংটনে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বন্ধু মিডিয়া ফেলোশিপ পেয়েছিলেন তিনি। সেই সূত্রে কাজ করেছেন নেপালে। বিষয় ছিল এইডসের ঝুঁকিমুক্তি ও সচেতনতা : প্রসঙ্গ বাংলাদেশ।

হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানটি একুশে টেলিভিশনের নতুন সংযোজন। অনুষ্ঠানটির পঞ্চম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আজ রাতে। জনপ্রতিনিধির সঙ্গে স্থানীয় ভোটার আর জনগণের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে একুশে টেলিভিশনে শুরু হয়েছে জবাবদিহিতামূলক অনুষ্ঠান হ্যালো লিডার। একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদারও এমনটি আশা করেন। তাঁর অভিমত, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও অন্তত বন্ধ হবে অবাধ দুর্নীতির ডালপালা। বিশেষ করে বিভিন্ন ভাতার কার্ডের নামে লুটপাট, ঠিকাদারিতে পুকুর চুরিসহ নানামূখি অনিয়ম-অপরাধ। 

উল্লেখ্য, জবাবদিহিমূলক অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। কারণ হ্যালো লিডার হচ্ছে প্রান্তিক মানুষের কথা বলার প্ল্যাটফরম। গণমানুষের দুঃখ কষ্ট ও অপরাধ অনিয়ম নিয়ে জনুদর্ভোগ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন করে বহু মানুষের প্রিয়পাত্র হয়েছেন ড. অখিল পোদ্দার। এই অনুষ্ঠানটিও দর্শকমহলে সাড়া ফেলবে বলে আশা করেন একুশে টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনাারেল মোহাম্মাদ আলী শিকাদার (অব.)। তিনি বলেন, অনেক মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেবে মেলাতেও সহায়ক হবে একুশে টিভির হ্যালো লিডার। 

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট ড. অখিল পোদ্দারের আশা, অনুষ্ঠানটি নানান কারণেই দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। কারণ বিষয়বৈচিত্র্যে ভরপুর ও তথ্যবহুল এ ধরণের টক শো টেলিভিশনগুলোতে অনুপস্থিত। গতানুগতিকতার বাইরে এমন একটি অনুষ্ঠান সময়ের দাবি বলেই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।  

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি