ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ইটিভির স্বপ্নদ্রষ্টা এ এস মাহমুদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৮, ২২ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ০৯:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০২০

একুশে টেলিভিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবু সাইয়ীদ মাহমুদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বদলে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি ২০০০ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলার সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতি ঘরে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমে বিপ্লব ঘটান তিনি। বিনোদনকে সঙ্গী করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সচেতন করার প্রত্যয় ছিলো তার হৃদয়ে। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্বপ্নবান এ মানুষটিকে স্মরণ করছে একুশে পরিবারসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ এস মাহমুদের হৃদয়ে ছিলো বাংলাদেশ, বাংলার মানুষ, সংস্কৃতি আর একাত্তরের চেতনা। এই আকুলতা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন প্রতিটি মানুষের মাঝে। তার স্বপ্নের বাস্তব রূপ পায়, দেশের গণমাধ্যমের জগতে বিপ্লব- একুশে টেলিভিশনের যাত্রার মধ্য দিয়ে।     

১৯৩৩ সালের ১০ জুলাই সিলেটে জন্ম। অল্প বয়স থেকেই গণমাধ্যমের প্রতি ছিল আগ্রহ। আর সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখা। ১৯৯১ সালে তার হাত ধরেই ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারের যাত্রা।

তবে আরো বড় পরিসরে গণমাধ্যমকে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা ছিলো তার। তাই যখন সরকার টেলিভিশন মিডিয়া বেসরকারি খাতে চালুর উদ্যোগ নেয়, এগিয়ে আসেন এ এস মাহমুদ। সঙ্গী করেন আরেক বিখ্যাত সাংবাদিক সায়মন ড্রিংকে।

১৯৯৯ সালে চুক্তি সই, পরের বছরই এক ঝাঁক তরুণ সংবাদ কর্মী ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের নিয়ে যাত্রা শুরু একুশের। দেশবাসীর সামনে উন্মোচিত হয় সংবাদ আর বিনোদন জগতের নতুন দিগন্ত।

স্বপ্ন, বিশ্বাস ও কাজে সুদৃঢ় সমন্বয় ছিলো তার। সামাজিক দায়বোধ এড়িয়ে ব্যবসা নয়, এই নীতিতে অটল ছিলেন এ এস মাহমুদ।

২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হলে। যুক্তরাজ্যে পাড়ি চলে গেলেন এ এস মাহমুদ। সেখানেই ২০০৪ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান মুক্তমনা মানুষটি।

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সুখী-সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নই ছিল তার একমাত্র আকাঙ্খা। গণমাধ্যমকে সঙ্গী করেই তা পুরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এই প্রয়াসকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় একুশের কর্মীদের।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি