হ্যালো লিডারে আজ খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান
প্রকাশিত : ১৭:০১, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৭:০৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২০
সাধারণ মানুষ অনেক আশা নিয়ে ভোট দেন। ব্যালটে সিল দেয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন দেখেন পূর্ণাঙ্গ নাগরিক সেবাপ্রাপ্তির। কিন্তু মানুষের সেসব আশা কি পূরণ হয়? অনেকাংশেই অপ্রাপ্তি থেকে যায়। ক্ষমতার রাজনীতিতে যখন জবাবদিহিতা উধাও হতে বসেছে তখন একুশে টেলিভিশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘হ্যালো লিডার।’ নেতাদের ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো মনে করিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নই হ্যালো লিডারের উদ্দেশ্য।
আজ ২৬ জানুয়ারি রোববার রাত ১০টায় একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের মুখোমুখি হবেন খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান। যিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও বটে। পেশায় ব্যবসায়ী সদর উদ্দিন খান বিভিন্ন সময়ে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের কান্ডারি ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন চারবার।
দ্বিতীয়বারের মতো কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মি. খান তাঁর এলাকার তিনজন ভোটারের মুখোমুখি হয়ে উত্তর দিয়েছেন উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে। প্রশ্নকর্তা অতিথি প্যানেলে ছিলেন খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বাবুল, দৈনিক গড়ব বাংলাদেশের সম্পাদক ডা. উজ্জ্বল রায় ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুরাইয়া নাসরিন। সদর উদ্দিন খান তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কতোটুকু কাজ করেছেন তার চুলচেরা বিশ্লেষণ রয়েছে একুশে টিভির হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান প্রযোজক মানিক শিকদার বলেন, হ্যালো লিডার একুশে টিভির ভিন্নমাত্রার জবাবদিহিমূলক অনুষ্ঠান। যার উদ্দেশ্য জনক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা। এর আগে খোকসা-কুমারখালীর সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানে লিডারের আসনে বসেছিলেন। উত্তর দিয়েছিলেন উন্নয়নের নানামাত্রিকতা প্রসঙ্গে। বিশেষকরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন শিলাইদহে প্রতিষ্ঠা, রবীন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা-কুষ্টিয়া মহসড়ক উন্নয়ন, কুমারখালীতে তাঁত পল্লী ও কারিগরী কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল সে অনুষ্ঠানে।
একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট ড. অখিল পোদ্দারের সঞ্চালনায় এবারের হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে পিছিয়ে পড়া খোকসার সামগ্রিক উন্নয়ন। বিশেষকরে শিল্পের পাশাপাশি ব্যবসাবান্ধব খোকসা বিনির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছেন উপস্থাপক ড. পোদ্দার। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জানান, অনুষ্ঠানটি রোববার রাত ২টায় ও পরদিন সোমবার সকাল ৭টায় পুণ:প্রচার হবে। একইসঙ্গে দেখা যাবে একুশে টিভির ফেসবুক লাইভে। একুশে টিভির ওয়েবসাইটে গিয়েও দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।
ড. পোদ্দার আরও বলেন, এটি একটি জনক্ষমতায়নবিষয়ক অনুষ্ঠান। দুর্নীতি রোধ করে জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বাধ্য করাই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, যা সংশ্লিষ্ট নেতার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। বিশেষকরে বিভিন্ন ভাতার কার্ডের নামে লুটপাট, ঠিকাদারিতে পুকুরচুরিসহ নানামূখি অনিয়ম বন্ধ করতেই জবাবদিহিমূলক এ অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গণমানুষের দুঃখ-কষ্ট ও সেবাবঞ্চনা নিয়ে এক যুগ ধরে ‘জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে আসছেন অখিল পোদ্দার। হ্যালো লিডারের গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান অপু জানান, একুশে টেলিভিশনের এ অনুষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের কথা বলার প্ল্যাটফরম। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনুষ্ঠানটি সহায়ক হবে আশা করছি। উন্নয়ন ও অপরাধদমনে ‘হ্যালো লিডার’ ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে-এমন অভিমত অনুষ্ঠানের সহকারি প্রযোজক রাশেদুল হাসানের।
আরকে//