সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর
প্রকাশিত : ০৮:২৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার অষ্টম বার্ষিকী আজ ১১ ফেব্রুয়ারি। হত্যাকাণ্ডের আট বছর পার হলেও হত্যা মামলাটির তদন্তের কূল-কিনারা করতে পারেনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এদিকে গতকাল আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে ২৩ মার্চ নির্ধারণ করেছে। এ নিয়ে ৭১ বারের মতো পেছাল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়াবাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। কিন্তু এরপর কেটে গেছে প্রায় ৮টি বছর। আজও রহস্যের জট খুলছে না।
আজ মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি। অপেক্ষার আটটি বছর পার হয়েছে তাদের পরিবারের। কিন্তু বাসার ভেতর চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের বিচার তো দূরের কথা, রহস্যের জটই খুলল না এত বছরে। তদন্ত শেষ করে খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে- সে বিষয়েও তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে নিশ্চিত কোনো আভাস মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে সাগর-রুনির পরিবার, স্বজনের সঙ্গে তার সহকর্মীরাও হতাশ।
হতাশা প্রকাশ করে সাগরের মা হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো আজও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
গতকাল মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম।
তিনি আদালতকে জানান, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। তবে আসামিদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরে সময় বাড়ানোর আবেদন জানালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ২৩ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে ৭০ বার তারিখ পেছানো হয়।
এসএ/