ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব বলে মিডিয়ার সংখ্যা বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ- সংগৃহীত

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ- সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। গত ১১ বছরে মিডিয়ার এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ হয়েছে, যেটি অভূতপূর্ব।’ 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন,  ‘যেখানে ১১ বছর আগে সাড়ে চারশ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন সেটি ১২৫০ এ উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে যেখানে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন সেটি ৩৪টিতে উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ছিল, এখন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাড়ে ৩ হাজার অনলাইন পত্রিকা আবেদন করেছে। আইপিটিভির জন্য প্রায় ৫০০ আবেদন জমা পড়ে আছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১১ বছরে মিডিয়ার এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ হয়েছে, যেটি অভূতপূর্ব। অনেক দেশে পত্রিকার সংখ্যা কমেছে গত ১০-১১ বছরে। ইউরোপের অনেক দেশে পত্রিকার সংখ্যা কমেছে। সরকারের গণমাধ্যমবান্ধব নীতির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এর সঙ্গে নানা চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে, যেগুলো আপনারা মোকাবিলা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আপনাদের পক্ষ হয়ে আপনাদের দৃষ্টিতে আমি পুরো বিষয়টাকে দেখার চেষ্টা করেছি। প্রথম থেকেই আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। আপনারা জানেন, অন্যান্যবার ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা এত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না। এবার নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। হাইকোর্টে কিন্তু সেটা নিয়ে মামলা চলছে। এই মামলা ভালো মতো মোকাবিলা করার জন্য আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে আগে প্যানেল আইনজীবী ছিল না, আমি আসার পর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা মোকাবিলা করছে, যাতে মামলার বেড়াজালে এটি আটকে রাখতে না পারে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, সংবাদপত্রে যারা বিনিয়োগ করেন, সেখানে সাংবাদিকরা যদি কাজ না করেন, তাহলে সেই সংবাদপত্র চলবে না। সুতরাং সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখেন সাংবাদিকরা। তাদেরকে বঞ্চিত করে কোনও সংবাদপত্রের সমৃদ্ধি আসতে পারে না। সেজন্য আমি মনে করি, নবম ওয়েজবোর্ড যেটা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি অবশ্যই পালন করা উচিত।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি