ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চলে গেলেন কবিতা-ভুবনে আলোকিত নাম রফিক আজাদ

প্রকাশিত : ১৬:০৪, ১২ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:১০, ১২ মার্চ ২০১৬

রফিক আজাদ কবিতা-ভুবনে এক-আলোকিত নাম। দশকের গণ্ডি ডিঙিয়ে, যাঁদের কবিতা বাংলা কাব্যাকাশে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের মতো মূর্ত হয়ে আলো ছড়ায় রফিক আজাদ তাঁদের অন্যতম। তিনি ছিলেন ষাট দশকের প্রথম প্রজন্মের কবি। দেশের প্রতি, মাটি ও মানুষের প্রতি কবির দায় ব্যক্ত হয় বহু কবিতায়। ১৯৪১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার এক সম্ধসঢ়;ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন  তারুন্যের এই কবি। স্বাধীনতা পরবর্তী যুগসন্ধির নীলকণ্ঠ কবি রফিক আজাদ। কবির সৃষ্টি তার শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রফিক আজাদের কবিতার পটভূমি- তার যাপিত জীবন, ফেলে-আসা জীবন স্মৃতি, মাটি ও মানুষের।  বাংলা কবিতা ও শিল্প-সংস্কৃতির পর্বে তার কবিতা যেন নতুন প্রেরণায় পথ দেখায়। কবিতা তার মগজের প্রতিটি কোষ দখল করে রেখেছিল আজীবন, তার হাত দিয়েই লেখা হয়- তোমার জাগরণ, সুন্দরের দিকে চোখ রেখে, ভালোবাসার সংজ্ঞা, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, নত হও কুর্নিশ করো, বসন্তে এসো না ’-এর মতো কবিতা;। বড় অভিমানী ছিলেন কবি। স্বীকৃতি চাননি কারও কাছে কোনোদিন। কবিতার জন্য যে-কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত একজন মানুষ। বাংলা একাডেমির চাকরি ছাড়তেও দ্বিধা করেনিন তিনি। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তার কবিতা বাংলা সাহিত্যের একটা অংশ হয়ে গেছে, সেই রফিক আজাদের তেমন মূল্যায়ন না হওয়ায় অভিমান হতেই পারে তার। কবি অসুন্দর বা অকল্যাণ বা দুর্ভাবনাকে গ্রহণ করতে নারাজ। তার কাছে মনের আনন্দ বড়। কবি রফিক আজাদের গদ্যভঙ্গিতেও এক ধরনের চমৎকারিত্ব আছে। কবির বোধ পাঠকের বোধকে জাগিয়ে তোলে, চেতনাকে শাণিত করে। গদ্যের গহন অরণ্যে হারিয়ে-যাওয়া আমি এক দিগ্ধসঢ়;ভ্রান্ত পথিক কবিতায় রফিক আজাদ সমাজের ক্রম বিলীয়মান সত্তাকে যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। ‘জীবন এই নাম মরণেরই চিরসখা’- কবি রফিক আজাদের পরিচিত লাইন।, জীবনের শেষ দিনগুলো একাকী কাটিয়ে অতপর কবি চলে যান না ফেরার দেশে। কবি ভক্তরা ‘ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবে অনড় বিশ্বাসে’, ‘আমাদের পায়ে শিকড় গজাবে’ তবু কবির জন্য ‘প্রতীক্ষা ফুরোবে না’। কবিতার ইন্দ্রজালে বাংলা কবিতার এই রাজপুত্র  পাঠকদের আজীবন মোহমুগ্ধ ও আলোকিত করবে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি