ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

যাঁদের কবিতা বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রের আলো ছড়ায় রফিক আজাদ তাঁদের অন্যতম

প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১২ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:২৪, ১২ মার্চ ২০১৬

রফিক আজাদ। কবিতা-ভুবনে এক-আলোকিত নাম। দশকের গণ্ডি ডিঙিয়ে, যাঁদের কবিতা বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রের আলো ছড়ায় রফিক আজাদ তাঁদের অন্যতম। ষাটের দশকের এ কবির কবিতায় মূর্ত হয়ে ফুটে ওঠে দেশের প্রতি, মাটি ও মানুষের তার দায়। ১৯৪১ সালের ১৪ই ফেব্র“য়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার এক সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন তারুন্যের এই কবি। rafic azadস্বাধীনতা পরবর্তী যুগসন্ধির নীলকণ্ঠ কবি রফিক আজাদ। কবির সৃষ্টি তার শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রফিক আজাদের কবিতার পটভূমি- তার যাপিত জীবন, ফেলে-আসা স্মৃতি, মাটি ও মানুষ। বাংলা কবিতা ও শিল্প-সংস্কৃতির পর্বে তার কবিতা যেন নতুন প্রেরণার পথ দেখায়। কবিতা তার মস্তিস্কের প্রতিটি কোষ দখল করে রেখেছিল আজীবন, তার হাত দিয়েই লেখা হয়- তোমার জাগরণ, সুন্দরের দিকে চোখ রেখে, ভালোবাসার সংজ্ঞা, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, নত হও কুর্নিশ করো, বসন্তে এসো না ’-এর মতো কবিতা;। বড় অভিমানী ছিলেন কবি। স্বীকৃতি চাননি কারও কাছে কোনোদিন। কবিতার জন্য যে-কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত একজন মানুষ। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করে বেছে নেন শিক্ষকতা পেশা। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত উত্তরাধিকার এর নির্বাহী সম্পাদকও ছিলেন। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী ও একুশে পদক। কবি অসুন্দর বা অকল্যাণ বা দুর্ভাবনাকে গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না কখনোই। তার কাছে মনের আনন্দই বড়। কবির বোধ পাঠকের বোধকে জাগিয়ে তোলে, চেতনাকে শাণিত করে। ‘জীবন এই নাম মরণেরই চিরসখা’- কবি রফিক আজাদের পরিচিত লাইন । আর এজন্যই বুঝি জীবনের শেষ দিনগুলো একাকী কাটিয়ে অতপর চলে গেলেন কবি। ফিরবেন না আর কখনই। কবি ভক্তরা ‘ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবে অনড় বিশ্বাসে’, ‘আমাদের পায়ে শিকড় গজাবে’ তবু কবির জন্য ‘প্রতীক্ষা ফুরোবে না’। কবিতার ইন্দ্রজালে বাংলা কবিতার এই রাজপুত্র পাঠকদের আজীবন মোহমুগ্ধ করবে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি