বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া আট কোটি ডলারের পুরোটা ফেরত পেতে লাগতে পারে কয়েক বছর
প্রকাশিত : ১৯:২২, ১২ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:২৩, ১২ মার্চ ২০১৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া আট কোটি ডলারের পুরোটা ফেরত পেতে কয়েক বছর লাগতে পারে বলে ধারনা করছেন আইটি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কয়েক স্তরে এই জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে। জালিয়াতি ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সিস্টেমে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তার গতিবিধি নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফরাসউদ্দিন।
গেল ৫ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয় জালিয়াত চক্র। শুরুতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর আন্তঃ সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটকে দায়ী করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দুটি প্রতিষ্ঠানই বিষয়টি অস্বীকার করে। তারা বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেই এই অর্থ লেনদেন হয়েছে।
জালিয়াতি হওয়া টাকা ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংককে পাঠাতে সুইফটের মাধ্যমে নির্দেশ যায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। সেসময় নিদির্ষ্ট কোড ব্যাবহার করে তা জানানো হয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে। এরপর এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে খোলা পাঁটি অ্যাকাউন্টে সুইফটের মাধ্যমেই দেয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক।
আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট যে সুইফট কোড ব্যাবহার করা হয়েছে তা হস্তান্তর হতে পারে কয়েকভাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট কম্পিউটারে ম্যাকওয়াল পাঠিয়ে তথ্য চুরি করা হতে পারে। অথবা, ব্যাংকে নির্দিষ্ট বিভাগের কোন কর্মকর্তা তার কোড অন্য কোথাও জানিয়ে থাকলে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফরাসউদ্দিন বলছেন, দোষীদের সনাক্ত করতে পুরো প্রক্রিয়াটিই খতিয়ে দেখা দরকার।
তবে, লোপাট হওয়া পুরো অর্থ ফেরত পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ডলার পাচারে অ্যাকাউন্ট খুলতেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলো ফিলিপাইনের ব্যাংক কর্মকর্তারা। উইলিয়াম গো নামে এক ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পাঁচটি অ্যাকাউন্ট খুলে ওই অর্থ সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফিলিপাইনে সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনা তুলে ধরেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী উইলিয়াম গো’র আইনজীবী র্যামন এসগিরা।
আরও পড়ুন