ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একাত্তরের এই দিনে স্বাধীনতার দাবি সমর্থন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ১৩ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৫:২৬, ১৩ মার্চ ২০১৬

উত্তাল মার্চের এই দিনে স্বাধীনতার দাবি সমর্থন করে কর্মবিরতি পালন করে রেলওয়ে, বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এধরনের কর্মসূচি বন্ধে কর্মস্থলে যোগ না দিলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান করে আদেশ জারি করে টিক্কা খান। তবে, এসব আদেশ থামাতে পারেনি মুক্তিকামী দামাল ছেলেদের। বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধেও আভাস দিচ্ছিলেন তারা। এসময় রাজপথে নেমে আসে পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নও। মুক্তিকামী বাঙালীর আন্দোলন-সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধেও প্রস্তুতিতে শঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা। তবে, পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তানের ভাঙ্গন নিশ্চিত বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তের আহবান জানান। অন্যদিকে, বাঙালীদেও স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে সামরিক সরকার। তাদেও পরিকল্পনা বুঝতে পেরে গোপনে চলতে থাকে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধেও প্রশিক্ষণ। এদিন, চট্টগ্রামের বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তারা ঢাকার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে বাঙালী কর্মকর্তাদের উপর নজরদাররির প্রতিবাদ জানান ক্যাপ্টেন রফিক।  এদিকে, শাসকগোষ্ঠী স্বীকৃতি না দিলেও কার্যত পূর্ব পাকিস্তান চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। মহান এই নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসে সাংবাদিকরাও।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি