ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪

মানবপাচারের সাথে জড়িত প্রভাবশালী চক্র (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৪, ২৬ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১২:৫৫, ২৬ আগস্ট ২০২০

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মানবপাচারের সাথে জড়িত নানা প্রভাশালী চক্র। এরইমধ্যে পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন  সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুল। দেশের বেশ কিছু জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে অন্তত ৬ হাজার। নিষ্পত্তির হার ৪ শতাংশ। 

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার পর নড়ে চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় অভিযান। এরইমধ্যে পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সতন্ত্র সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপলুকে গ্রেফতার করে কুয়েতি পুলিশ। এরপর পাচারে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

সম্প্রতি ৫ শতাধিক লোককে কুয়েতে পাচারের প্রস্তুতির সময় একটি এজেন্সিতে নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিটের নেতৃত্বে অভিযান চালায় র‌্যাব। ভিসা ছাড়া শত শত মানুষের কাছ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা নেয়ার তথ্য উঠে আসে এই অভিযানে। 

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দাশ বলেন, অভিযানে এটা পেয়েছি যে, সম্পূর্ণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান অভিবাসী আইন-২০১৩ যেটা আছে সে আইনের প্রত্যেকটা ধারা লঙ্ঘন করে তারা কাতারে প্রায় ৪/৫’শ লোক পাঠিয়েছে। 

এ অভিযানে আটক করা হয় এক কুয়েতী দালালকে। এর আগেও এই  কুয়েতি নাগরিক আটক হয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।

পাচারের শিকার এই ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য না থাকায় তদন্ত কার্যক্রম কঠিন। আর অভিযোগ না থাকায় আইনি ব্যবস্থা নেয়াও যথাযথ হয় না। 

এ বিষয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, আগে তথ্যগুলো নিয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। গ্রাম্য দালাল বলি আর এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে বলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কম সহযোগিতা পায় এবং আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তার দেয়ার আশ্বাস দিলেও তারা আমাদের সাহায্য করতে চায় না। তারা বলে সাহায্য করে এখন আর কী হবে আমরা যা হারানোর তা হারিয়েই ফেলেছি। 

গত ৮ বছরে পাচার সংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে অন্তত ৬ হাজার। এ পযর্ন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ২৫০টি। অনেক ক্ষেত্রেই চার্জশীট তৈরি করা যায় না। জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। 

লে. কর্নেল রকিবুল হাসান আরও বলেন, যখন কোনো দেশে আমরা একটা ঘটনা শুনতে পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করি। অন্য যেসব সরকারী সংস্থা আছে তারাও অত্যন্ত সক্রিয়। আমরা এটাকে নিশ্চিহৃ করতে না পারলেও যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। 

গত একযুগে মানাব পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। সাজা হয়েছে মাত্র শ’খানেকের। এমন অপরাধ বন্ধে দরকার আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা। 

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি