সাত বছরে পনেরো হাজারের বেশী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
প্রকাশিত : ১২:৫৪, ১৫ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৭:২৮, ১৫ মার্চ ২০১৬
ভোক্তাদের অভিযোগ আর বাজার তদারকির ভিত্তিতে গেল সাত বছরে পনেরো হাজারের বেশী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ তালিকায় রয়েছে নামী দামি বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। আর সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করায়, পুরস্কৃত করা হয়েছে দু’শর বেশি অভিযোগকারীকে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে এ বিষয়ে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে পঞ্চম বারের মতন পালিত হচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দিবস। আর তারও আগে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধলাখ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যার ভিত্তি ছিল ভোক্তা’র অভিযোগ আর নিজস্ব বাজার তদারকি।
অধিদপ্তরের নিজস্ব আইনে পাঁচটি বিচারিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল ও দু’লাখ টাকা জরিমানা।
পাশাপাশি ভোক্তা অভিযোগের ভিত্তিতে আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে দেয়ার বিধানও রয়েছে । চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত অভিযোগ হাজার ছাড়িয়েছে, নিষ্পত্তিও হয়েছে সমান হারে । তদন্তাধীন আছে বিরানব্বইটি।
এদিকে সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, অনিয়ম, ভেজাল মেশানো, ভোক্তা হয়রানীসহ নানা কারনে নামি দামী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানসহ জরিমানা করা হয়েছে প্রায় পনের হাজারের বেশী প্রতিষ্ঠানকে । জরিমানা আদায় হয়েছে এগারো কোটি টাকার বেশী। অভিযোগকারীদের মধ্যে আড়াইশো জনকে করা হয়েছে পুরস্কৃত, টাকার অংকে যা পাঁচ লাখের বেশী ।
এই হার বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় সন্তোষজনক মানছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এবার দরকার জনমানুষের কাছে অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে আরো বি¯তৃত করা।
সংশ্লিষ্টরা আরো বলছেন, গেলো সাত বছরের অর্জন তুলে ধরে ভোক্তা সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে । বাড়াতে হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দিবসের আয়োজনের পরিধিও।
আরও পড়ুন