একাত্তরের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় সমঝোতার সব পথ, স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পথে এগুতে থাকে মুক্তিকামি জনতা
প্রকাশিত : ১০:০৫, ২০ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৫৯, ২০ মার্চ ২০১৬
২০ মার্চ, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পথে। বন্ধ হয়ে যায় সমঝোতার সব পথ। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পথে এগুতে থাকে মুক্তিকামি জনতা। এদিকে নরঘাতক জেনারেল টিক্কা খানের সাথে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হামিদ খানের বৈঠকে চূড়ান্ত হয় অপরাশেন সার্চ লাইটের সিদ্ধান্ত ।
একাত্তরের ২০ মার্চ ছিল ঘটনাবহুল ও উত্তেজনাপূর্ণ দিন। বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, জনগণ যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
এদিন বিহারী ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিরপুর, চট্টগ্রাম, পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরে মুক্তিকামি বাঙালীদের সংঘর্ষ হয়।
উত্তাল হয়ে উঠে রাজপথ। পথে পথে নামে বিক্ষুব্ধ মানুষের ঢল।
একাত্তরের এই দিনে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে ডামি রাইফেল নিয়ে রাজপথে বের হয় শোভাযাত্রা। জনতার কাছে, যা-ছিলো সশস্ত্র যুদ্ধের বার্তা।
এদিকে গণহত্যর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রতিদিনই পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও যুদ্ধের রসদ আনা হচ্ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। স্থল ও বিমান শক্তি দ্বিগুণ করা হয়। গণহত্যার সব প্রস্তুতিই নিচ্ছিলো পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।
আরও পড়ুন