ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৩, ১১ নভেম্বর ২০২১

সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর সাহসিকতা, আদর্শ, দৃঢ়তা, দূরদর্শিতার পাঠ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর শ্রম ভবনে ‘স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত ৯৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গভবন থেকে তিনি যোগ দেন। 

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর জীবনাদর্শ পৌঁছে দেবে এবং তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্ম তাদের জীবনকে মহিমান্বিত করে গড়ে তুলবে। বাংলাদেশ পাবে আলোকিত নেতৃত্ব, আলোকিত ভবিষ্যৎ।

আবদুল হামিদ বলেন, মহান এ মানুষটি ছিলেন একাধারে কূটনীতিক, আমলা ও রাজনীতিক। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি অজস্র সফলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি অসীম সাহসিকতায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে জনমত গঠন ও বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য ৪০টির বেশি দেশে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন।
স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চৌধুরী ১৯৭২ সালে জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সেখানে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে তাঁর নিজ বাড়িতে ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন।

রাষ্ট্র প্রধান বলেন, তখন অনেক রাজনীতিক, আমলা, বুদ্ধিজীবীসহ সুবিধাবাদীরা যে যেদিক দিয়ে পারে নতুন তরীতে উঠার চেষ্টায় মত্ত ছিল। কিন্তু, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী পেশাদারিত্বের ঝুঁকি নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই সন্তানকে জার্মানিতে নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন আলাদা। লোভ, মোহ কিংবা জীবনের ঝুঁকি কিছুই তাঁকে ন্যায়পরায়ণতা ও আদর্শ থেকে বিচ্যূত করতে পারেনি। নিজের বিবেককে তিনি বিক্রি করে দেননি। ১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিন তাঁর আশ্রয়ে নিরাপদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয়। দিয়েছিলেন মানসিক শক্তি ও সাহস।

আবদুল হামিদ জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যাদের দিল্লীতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। চরম বিপদের দিনে মরহুম স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর এই অতুলনীয় অবদান কখনো ভুলবার নয়। তার কর্ম ও নীতি-আদর্শের কখনো মৃত্যু হবে না।

রাষ্ট্রপতি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু, তিনি রয়েছেন আমাদের হৃদয়ে। মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তাঁর কর্মের মাধ্যমেই আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন। আমাদের মাঝে তাঁর স্মৃতি বেঁচে থাকবে অনন্তকাল জুড়ে। তাঁর অসীম সাহসিকতা ও নীতি-আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক-এ প্রত্যাশা করি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি, অনুষ্ঠানের সভাপতি সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, মুখ্য আলোচক কূটনীতিক ইফতেখার আহমদ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি