ঢাকা, বুধবার   ২৬ জুন ২০২৪

হাসিনা-মোদি বৈঠকের অপেক্ষা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন সবার চোখ দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের দিকে। আর কিছুক্ষণ পর এখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত আলোচনায় বসবেন শেখ হাসিনা। 

চারদিনের সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোমবার দুপুরে দিল্লি পৌঁছার পর তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরপর বিকালে হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত ও আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। রাতে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দেওয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। 

সফরের দ্বিতীয় দিনটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনই বেশি ব্যস্ততায় কাটবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। 

শেখ হাসিনা সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপ্রতি ভবন যান। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। 

এরপর শেখ হাসিনা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

এসব কর্মসূচির পর দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠক করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সেখানেও নরেন্দ্র মোদি তাকে স্বাগত জানাবেন।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরে একটি প্রেস বিবৃতি দেয়া হবে। 

এর আগে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বলেন, “আমি আশা করি এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে এবং আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা এবং আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা- যা আমরা করতে সক্ষম হব। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সুতরাং, আমরা সবসময় এটিই করি।”

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজনে যোগ দেবেন। 
একইদিন শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। 

পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের 'মুজিব বৃত্তি' প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন।

এএইচএস
      
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি