ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ভারতের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৪, ১৮ নভেম্বর ২০২২

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে ভারতীয় পক্ষ বলেছে যে, ভারত রোহিঙ্গা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ভারতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন আশ্বাস দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এসময় উভয়ের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং অভিন্ন নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিন ভারতে শুরু হওয়া কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং অন নো মানি ফর টেরর (এনএমএফটি) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ফাঁকে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইট করে বলেছে, ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে।’

এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সূত্রে জানা গেছে, দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত হত্যা ‘শূন্য’ পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

উভয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ১৯৭১ সালে দুই দেশের জনগণ যেভাবে একসঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, সেরকম ভবিষ্যতেও সময়ের প্রয়োজনে একে অপরের পাশে থাকবে।

বৈঠকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, ডেপুটি হাইকমিশনার মো. নূরল ইসলাম, মন্ত্রী (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিরোধী তৃতীয় ‘নো মানি ফর টেরর’ (এনএমএফটি) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে হোটেল তাজ প্যালেসে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের ৭৬টি দেশের ৪৫০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এদিনের অধিবেশনে বাংলাদেশ, রাশিয়ান ফেডারেশন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ২০টি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সম্মেলন সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে বর্তমান আন্তর্জাতিক শাসনের কার্যকারিতা এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য একটি অনন্য প্ল্য্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

শুক্রবার সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বৈশ্বিক প্রবণতা’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য তহবিলের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ‘উদীয়মান প্রযুক্তি ও সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা’ বিষয়ক তৃতীয় ও চতুর্থ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ আজ দ্বিতীয় অধিবেশনে এমটিএসএস, হাওয়ালা/হুন্ডি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থায়নের ওপর একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান। সূত্র- বাসস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি