ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

‘জঙ্গীবাদে পৃষ্টপোষকদের যেকোন মূল্যে রুখতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ২০:২৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষকদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে। তাদেরকে যেকোন মূল্যে রুখতে হবে।

বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত। একটি মহল জঙ্গিবাদের দ্বারা এদেশে বিশৃঙ্খলার সূচনা করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এসব জঙ্গিবাদ সংস্কৃতির চিরায়ত শত্রু। এরা আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এদের হৃদয়ে বাংলাদেশ নেই। তবে সোনারগাঁ এক সময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল। সোনারগাঁ জাদুঘরকে স্মার্ট জাদুঘর করা দরকার নেই। এর সঙ্গে নানা ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হলে তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। ভোটে হেরে যাবে। তাদের তো খাই খাই ভাব। সেজন্য তারা মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল এখন হাসপাতালে অসুস্থ, এই অসুস্থতা কী রাজনৈতিক অসুস্থতা নয়? কেন হঠাৎ আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে হাসপাতালে। অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, শান্তি চাই। আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান আপনারা আজ পর্যন্ত নেন নাই। আমরা উসকানি দেবো না, আপনারা উসকানি দিচ্ছেন। এই উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করুন। তা না হলে দেশের জনগণ আপনাদের প্রতিরোধ করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিনে শত সেতুর উদ্বোধন করেছেন। নরসিংদীতে একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফলক তারা (বিএনপি) ভাঙচুর করে উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে। তারা (বিএনপি) নাশকতার উসকানি দিচ্ছে।
 
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এই দেশে কারও সহিংস আন্দোলনের জন্য সাধারণ মানুষের মালামালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আছে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে সতর্ক অবস্থান নেওয়া। আমরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতে নেই। আমরা কোনও পাল্টাপাল্টি করছি না। আমরা শান্তির সমাবেশ করেছি। তারা উসকানি দিচ্ছে সংঘাতের, সহিংসতার ও ভাঙচুরের। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের এই হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার উপযুক্ত জবাব আমাদের দিতে হবে। তারা নিজেরা কিছু করতে পারেনি, এখন শেখ হাসিনা’র উন্নয়ন কাজ দেখে তাদের অন্তর জ্বালা শুরু হয়েছে।

সোনারগাঁকে সংস্কৃতির আমানত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এসব সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। পানাম সিটির মনোরম দৃশ্যপট সবাইকে মুগ্ধ করে। সোনারগাঁয়ের এসব বিষয়গুলোর দিকে কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো নজর দিলে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন যে লক্ষ্যে এ লোকশিল্প ফাউন্ডেশন করেছিলেন তা স্বার্থক হবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাসেম খান, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মো. শহীদ বাদল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি