ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪

অতিমাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তিনটি গতিশীল ভূ-গাঠনিক প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। প্লেটগুলো সক্রিয় হওয়ায় প্রচুর শক্তি জমা হচ্ছে সেখানে। ফলে অতিমাত্রায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। 

১৯১৮ সালে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর দেশে অনেকবার ভূকম্পন হলেও মাত্রা ৫-এর ওপরে উঠেনি। শুধু ২০০৭ সালে ভূকম্পন রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মিজ- এই তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে। এখনই বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এমন কথা বলা না গেলেও গতিশীল ভূ-গাঠনিক প্লেটগুলোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, “বাংলাদেশের নর্থ-ইস্ট অঞ্চল যেটি আছে সেখানে ডাউকি ফল্ট, যেখানে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল বা বড় ভূমিকম্প হওয়ার মতো ভূগাঠনিক অবস্থা সেখানে বিরাজ করছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। মাঝারি থেকে বড় ভূমিকম্প হওয়ার মতো একটি সময়ের মধ্যদিয়ে আমরা পার হচ্ছি।”

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিল্ডিং কোড মেনে স্থাপনা তৈরির কথা বলছে রাজউক। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রাজউক এ নিয়ে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, “আরবান প্রজেক্টের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা এটা করতেছি। এটা প্রায় চূড়ান্ত। রি-সেনসেটিভ জোন যদি হয় তাহলে কোন এলাকাটা ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভূমিকম্প ঝুঁকিমুক্ত এটা আমরা দেখতে পাবো।”

বাংলাদেশে বিপদজনক ভূকম্পনের প্রধান উৎস দুটি। একটি হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ফল্ট। আর অন্যটি টেকনাফ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের সাবডাকশন জোন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি