ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

জাতির পিতার নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বঙ্গবন্ধু উপাধী (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করার ৫৪তম বার্ষিকী আজ। ১৯৬৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সমাবেশ থেকে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করা হয়। সেদিন থেকে জাতির পিতার নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শব্দটি। 

স্বাধীকারের দাবিতে গোটা দেশ তখন উত্তাল। মুক্তিকামী বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব তখনও সবার প্রিয় মুজিব ভাই। জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফাকে কেন্দ্র করে মুজিবসহ ৩৫ জনকে ফাঁসি দিতে মরিয়া স্বৈরশাসক আইয়ুব খান। দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয় মুজিবকে। 

মুজিবকে মুক্ত করতে ৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ে চার ছাত্র সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম ‘সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। ৬ দফার সঙ্গে আরও দাবি যুক্ত করে ১১ দফা ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। 

জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান সব রাজবন্দিকে বিনা শর্তে মুক্তি দিলে দেশজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দিতে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে পরদিন রেসকোর্স ময়দানে জনসভা ডাকা হয়। সেদিন লাখো জনতার সামনে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করলেন তোফায়েল আহমেদ। 

তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে তা সমর্থন করে সবাই। লাখো কণ্ঠে ধ্বনি ওঠে, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু।’

বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাস রচনায় যিনি যৌবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে, মৃত্যুকে করেছেন তুচ্ছজ্ঞান। তিনিই তো বাঙালির পরম বন্ধু- শেখ মুজিবুর রহমান।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি