ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কোস্ট গার্ডের প্রচেষ্টায় আওতাধীন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন শূন্যের কোঠায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৭, ২০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৪৪, ২০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় আওতাধীন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অবাধে বালু উত্তোলন ঠেকাতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল এবং নিয়মিত অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাহিনীটি।

এসব অভিযানে এ পর্যন্ত ৭৬টি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার, ১০৬টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, পাঁচটি এস্কেভেটর/ভেকু এবং ১৫৩ জন বালুখেকোকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড জানায়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বালুখেকোদের তৎপরতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি এবং বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী জনসাধারণের আবেদন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন কোস্ট গার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে কোস্ট গার্ড তার আওতাধীন মেঘনা নদী সংলগ্ন চাঁদপুরের মতলব, মোহনপুর, ষাটনল, কালিপুর, মুন্সীগঞ্জ ও কবুতর খোলা এলাকা, খুলনার শিবসা ও আড়পাঙ্গাসিয়া নদী সংলগ্ন কয়রা, ঘরিলাল বাজার, আংটিহারা, তেঁতুলতলা ও বটিয়াঘাটা এলাকা, মেঘনা নদী সংলগ্ন ভোলার লালমোহন, ইলিশা, তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন ভেদুরিয়া, লতারচর, মুক্তিযোদ্ধা চর এবং বিশখালী নদী তীরবর্তী গোলবুনিয়া এলাকাসহ লাউকাঠি নদী সংলগ্ন পটুয়াখালীর লাউখালী ও দুর্গাপুর এলাকায় বালুখেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট, যৌথ এবং সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।

গত ৫ আগস্ট থেকে কোস্ট গার্ডের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল এবং নিয়মিত অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৭৬টি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার, ১০৬টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, পাঁচটি এস্কেভেটর/ভেকু এবং বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ১৫৩ জন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়। কোস্ট গার্ডের এ অভিযানের মাধ্যমে আওতাধীন নদী ও চরাঞ্চলে বর্তমানে অবৈধ বালু উত্তোলন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, এসব ড্রেজার পরিচালনার ক্ষেত্রে বালুখেকো একটি বিশেষ মহল নদী ও চরাঞ্চলে অস্ত্র দেখিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কোস্ট গার্ডের দিবারাত্রি টহল ও সাঁড়াশি অভিযানের ফলে বর্তমানে এসব সন্ত্রাসীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করা হয়েছে।

যার ফলে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গ্রামসমূহ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং নদীতে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়াতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।


এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি