ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর ঘোষনা আসছে, বিদ্যুতের দাম কমছেনা জানিয়েছেন বিদ্যুত ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৯:৩৭, ২৯ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:৩৭, ২৯ মার্চ ২০১৬
আগামী ৭ দিনের মধ্যে ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর ঘোষনা আসছে তবে বিদ্যুতের দাম কমছেনা বলেও জানিয়েছেন বিদ্যুত ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। মন্ত্রী বলেন ডিজেল, পেট্রোল, ও অকটেনের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ফার্নেসের পাশাপাশি অন্যান্য জ্বালানী তেলের দাম না কমানো অযৌক্তিক বলে মনে করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে দেশে ফার্নেস অয়েলের চাহিদা রয়েছে ১২লাখ টন। এর সিংহ ভাগই যায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের তথ্য মতে ফার্নেস অয়েলের ক্রয়মূল্য ৩২ টাকা ও বিক্রয় মূল্য ৬০ টাকা। এ থেকে বিপিসির মুনাফা ২৭ টাকা ১৯ পয়সা। এরই প্রেক্ষিতে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফার্নেস অয়েলের দাম লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫টাকা কমানো হতে পারে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল উপাদান ফার্নেস অয়েলের দাম কমলেও এই মূহুর্তে বিদ্যুতের দাম কমছেনা বলে জানান তিনি। তবে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেল-কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়।
এতে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রল ৯৬, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমূহুর্তে এসব তেলের দাম কমানোর কোন সিদ্ধান্ত সরকারের না থাকলেও আগামী মাসে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
সাধারন মানুষের কথা ভেবে অন্যান্য জ্বালানী তেলের দামও কমানো উচিৎ বলে মনে করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।
সংসদ অধিবেসনে দেয়া তথ্য মতে, জ্বালানি তেল বিক্রি থেকে চলতি অর্থ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাশ্রয় হয়েছে ১১ হাজার ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ।
আরও পড়ুন