ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

সঠিক পরিচর্যায় দূর হয় শিশুদের অটিজম সমস্যা, আক্রান্তদের মুলধারায় আনতে সাধারন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির পরার্মশ বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত : ০৯:১০, ১ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ২০:৫৫, ১ এপ্রিল ২০১৬

অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে সমাজে প্রচলিত আছে কিছু বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার। বিশেষ করে অটিজম আর প্রতিবন্ধকতাকে প্রায়ই এক করে দেখা হয়- যা মোটেও ঠিক নয়। সঠিক সময়ে সমস্যাটি চিহ্নিত করে যথাযথ পরিচর্যা করতে পারলে অটিজম সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি, সাধারন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের সমাজের মুলধারায় নিয়ে আসা সম্ভব। এতে অন্য শিশুদের মধ্যেও কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না বলে স্পস্ট জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯১১ সালে সুইস মনোবিজ্ঞানী অয়গেন ব্রয়লার অটিজমকে এক ধরণের মনোরোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরবর্তী কয়েক দশক রোগটি নিয়ে গবেষণা আরো বিস্তৃত হয়। অটিজমের কয়েকটি ধরণের একটি হলো: শিশুর স্বাভাবিক কথা বলার ক্ষমতা থাকলেও কারো সাথে মিশতে পছন্দ করেনা। তবে বিশেষ কোন বিষয়ে হয়ে ওঠে পারদর্শী। আরেকটি ধরন ক্লাসিক অটিস্টিক ডিসঅর্ডার বা আর্লি ইনফ্যানটাইল: এ ক্ষেত্রে কথা বলায় সমস্যার পাশাপাশি থাকে যোগাযোগ ও বুঝে উঠার অসুবিধা। মস্তিস্কের অস্বাভাবিক জৈব ও রাসায়নিক কার্যকলাপের ফলে মনোবিকাশের প্রতিবন্ধকতা অটিস্টিক শিশুর চিন্তায় সৃষ্টি করে আলাদা জগৎ। তাদের সেই নিজস্ব জগৎ থেকে বের করে স্বাভাবিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন। অনুকরণপ্রিয় বলে স্বাভাবিক শিশুদের সান্ন্যিধ্যে অটিস্টিক শিশুরাও স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। আর, তাদেরকে সমাজের মুলধারায় নিয়ে আসতে একীভুত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে এর সীমাবদ্ধতা। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত বা বিশেষায়িত শিক্ষক নেই বলেও পিছিয়ে আছে অনেকটা। সমস্যা আচরণগত; আর তাই সঠিক পরিচর্যায় পাশাপাশি, একীভূত শিক্ষা পদ্ধতি এই শিশুদের আর দশটি শিশুর মতোই বেড়ে উঠা সুযোগ করে দিতে পারে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের ।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি