ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিশুর ঠিকানা পথ যেন না হয়

প্রকাশিত : ০৯:১৯, ৬ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩৫, ৬ এপ্রিল ২০১৬

কোন শিশুর ঠিকানা যেন পথ না হয়। পথশিশুদের দুঃখ, কষ্ট আর হতাশার গল্পগুলোর ধরণ হয়তো কিছুটা বদলেছে, তবে কমেনি। জাতীয় শিশু নীতিমালায় শিশুদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হলেও, সব সুবিধা থেকেই বঞ্চিত পথশিশুরা। এদের নিয়ে কাজ করছে কেবল হাতে গোনা কয়েকটি সংগঠন। তবে, দেরীতে হলেও, পথশিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সরকার। পথশিশুদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই; পথেই থাকে, পথেই সব। ঝড়ো বাতাসে উড়তে থাকা বেওয়ারিশ ছিন্নপত্রের মতো। মাঝে মাঝে এদের কাছে দু-একটা সাহায্যকারী সংস্থা আসে, আসে মানবাধিকার কর্মী; টাকা দিয়ে যায়, ভাগ্য একটু আধটু সহায় হলে শীতবস্ত্রও মিলে মাঝে মাঝে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। পথশিশুদের মাঝে যারা মাদকাসক্ত, তাদের নিরাময় বা পুণর্বাসনে সরকারের তেমন চোখে পড়ার মতো উদ্যোগ নেই। বিষয়টি স্বীকারও করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চোখে পড়ার মতো না হলেও, হাতে গোনা কিছু সংগঠন কাজ করছে। পথশিশু সংগঠন আহসানিয়া মিশন বলছে, এক্ষেত্রে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো কার্যকর হতে হবে। আর যেনো কোন শিশুকে পথে পথে ঘুরতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুই মন্ত্রণালয়কে এরিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজও এগিয়ে নিচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মৃত্যু যাদের জন্য দিন রাত্রির মতই স্বাভাবিক, কখনো পুলিশি ধাওয়ায়, কখনো গাড়ি চাপায়, কখনো ক্ষুধায়, আবার মাঝে মাঝে খুব স্বাভাবিক অসুখের অস্বাভাবিক মৃত্যুৃ, তাদের জন্য সরকার এগিয়ে আসবে, এটাইতো হবার কথা। কিন্তু, এক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি কি আসলেই হয়েছে ? যদি না হয়ে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি