চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিপুল সাফল্য পেয়েছে আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত : ১১:৩২, ৮ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:৩৩, ৮ মে ২০১৬
চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিপুল সাফল্য পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ৭শ ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬শ ৫৭টির ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪শ ২৭টিতে বিজয়ী হয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী ৬৭টি; আর অন্যান্যরা বিজয়ী হয়েছেন ১শ ৬৩টি ইউনিয়নে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের কারণে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয় কয়েকটি কেন্দ্রে। এছাড়াও ভোট কাটচুপি ও ব্যালট ছিনতাইয়েরও অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি জায়গায়।
বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষনার পর উল্লাস করেন বিজয়ী দলের সমর্থকেরা। চতুর্থ দফা এবারের নির্বাচন অনুর্ষ্ঠিত হয় ৭০৩টি ইউনিয়ন পরিষদে।
চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হয়েছে ঢাকা বিভাগের ২৩৬টি ইউনিয়নে। যেখানে ১৪৭টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৭টিতে। আর স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা জিতেছেন ৬৫টি ইউপিতে। ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে ৭টি ইউনিয়নে।
ঢাকা জেলায় নির্বাচন হয়েছে ১৪টি ইউনিয়নে। যার ৯টিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ৩টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ২টিতে।
আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত গোপালগঞ্জ জেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ১২টিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। আর ৩টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী। ১টিতে ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে ১৩টির মধ্যে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হয়েছেন ৮জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন ৩টিতে। স্থগিত রয়েছে ২টিতে।
গাজিপুরে ৭টির মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৪টিতে। ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
জামালপুরে ৯টির মধ্যে ৭টিতে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। আর ২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
টাঙ্গাইলে ১১টির ৬টিতে জিতেছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ২টিতে আর ৩টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
নেত্রকোনায় ১৫টির ৫টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক। ধানের শীষ জয় পেয়েছে ৪টিতে, ২টি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ।
নরসিংদীতে ২৪টির ১৬টিতে আওয়ামীলীগ, স্বতন্ত্র ৭টিতে আর স্থগিত ১টি।
ফরিদপুরের ১৭টির মধ্যে ৮টিতে আওয়ামীলীগ, আর ৯টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
মাদারীপুরের ১৯টির মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ১০টিতে, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯টিতে বিজয়ী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জে ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ১৮টিতে, আর ২টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
মুন্সিগঞ্জে ১৫টির মধ্যে ৮টিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী, ২টিতে বিএনপি প্রার্থী আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৩টি বিজয়ী হয়েছেন। এখানে স্থগিত রয়েছে ২টি ইউপির ফলাফল ঘোষনা।
ময়মনসিংহের ১৮টির ৯টিতে আওয়ামীলীগ আর ৩টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৫টিতে। স্থগিত রয়েছে ১টি।
রাজবাড়িতে ২৪টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে ১৬জন, ধানের শীষ প্রতীকে ৩জন আর ৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আচরণ বিধি ভঙ্গ করায় হুইপ আতিকুর রহমানকে একদিন আগে এলাকা থেকে বের করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তারপরও শেরপুরে ১৪টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন ১১জন, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জিতেছেন ৩জন।
এই ধাপে খুলনা বিভাগে ৯১টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী গীগ ৫৪টিতে, বিএনপি ৮টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রাথী ২৭টিতে জয় পেয়েছে। আর স্থগিত রয়েছে ২টি ইউপির ফলাফল ঘোষনা।
এই বিভাগের কুষ্টিয়ায় ২২টি ইউনিয়নের ১৩টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও বিএনপি ১টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৮টিতে জয় পেয়েছেন।
ঝিনাইদহে ১৫টির ১১টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছে ৪টিতে।
যশোরের ১১টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭টিতে বিএনপি ২টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ২টিতে জয় পেয়েছেন।
নড়াইলে ১২টির ৫টিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ১টিতে আর ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
মাগুরায় ১৫টির মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৩টিতে জয় পেয়েছেন। স্থগিত রয়েছে ২টি ইউপির ফলাফল ঘোষনা।
মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়েছে বিএনপি। জেলার ৯টি ইউপির মধ্যে ৪টি করে জিতেছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ১টিতে।
চুয়াডাঙ্গায় ৭টির ৪টিতে আওয়ামী লীগ আর ৩টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৯৪টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৫টিতে আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ১৩টিতে। স্থগিত রয়েছে ৭টি ইউপির ফলাফল ঘোষনা।
চট্টগ্রামের ১৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ১৩টিতে আর স্বতন্ত্র ৪টিতে বিজয়ী হয়েছেন।
কক্সবাজারে ৬টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ২জন। ধানের শীষে ২জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ২জন।
ফেনীতে ৯টির ৮টিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ১টিতে জয় পেয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ১৪এবং আর ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
লক্ষীপুরের ৮টি ইউনিয়নে শতভাগ সাফল্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের।
নোয়াখালীতেও বিপুল দাপট দেখিয়ে ১০টির নয়টিতে জয় তুলে নিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা । আর স্থাগিত রয়েছে ১টি।
চাঁদপুরে ১০টির মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৫টিতে, বিএনপি ১টি আর স্বতন্ত্র ২টিতে বিজয়ী হয়েছে। ২টিতে ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে।
কুমিল্লায় ৪৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৩৫টিতে, বিপরীতে মাত্র ১টিতে জিতেছেন বিএনপি প্রার্থী। আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৪টিতে। ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রয়েছে ৪টি ইউপিতে।
সিলেট বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে। এবিভাগে বিএনপি তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে। আওয়ামী লীগের ১২ জয়ের বিপরীতে এখানে বিএনপি সমর্থিত ১০ প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ১৬টিতে। স্থগিত রয়েছে ১টিতে।
সিলেট জেলার ক্ষমতাসীনদের টেক্কা দিয়েছে বিএনপি। জেলাটির ২৫টির ৬টিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ৯টিতে আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছেন ৯টিতে। স্থগিত রয়েছে ১টি।
মৌলভীবাজারে ১৪টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন ৬জন, ধানের শীষ প্রতীকে ১জন, আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৭টিতে।
রংপুর বিভাগের ১৪১ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে ১৩১টির ফলাফলে আওয়ামীলীগ পেয়েছে ৭৮টি, বিএনপি ১৬ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৩৭টি ইউপিতে।
রংপুর জেলায় ২৪টির মধ্যে ২১টিতে নৌকা প্রতীকে, ২টি ধানের শীষ প্রতীকে আর ১টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
কুড়িগ্রামে ১৮টির মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৭টিতে বিএনপি আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১টিতে জয় পেয়েছে।
গাইবান্দায় ১৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৫জন, ধানের শীষ প্রতীকে ১জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১১জন জয় পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে ২০টির মধ্যে ১৬টিতে আওয়ামীলীগ, ২টিতে বিএনপি আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছে ২টি ইউনিয়নে।
দিনাজপুরে ২২টির মধ্যে ৯টিতে নৌকা, ২টিতে ধানের শীষ প্রতীক আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১টিতে জয় হয়েছেন।
নীলফামারীতে ১৯টির মধ্যে আওয়ামী লীগের জিতেছেন ৭জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১২জন বিজয়ী হয়েছেন।
পঞ্চগড়ে ৫টির মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৩টিতে, ধানের শীষ প্রতীকে ১টি এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১টিতে জয় পেয়েছেন।
লালমনিরাহাটে ১৬টির মধ্যে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন ৮জন। ধানের শীষ প্রতীকে ১জন আর স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয় পেয়েছে ৭টিতে।
রাজশাহী বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭২টি ইউনিয়নে। যার ৫৫টির ফলাফলে আওয়ামী লীগ ৪১টিতে, বিএনপি ৫টি আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৮টিতে বিজয়ী হয়েছেন।
জয়পুরহাটে ৭টির মধ্যে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৬টিতে, বিএনপি ১টিতে জয় পেয়েছে।
নওগাঁয়ে ১২টির ৯টিতে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীক, ১টিতে ধানের শীষ প্রতীকে আর ২টি জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
পাবনার ১৫ ও নাটোর ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনে শতভাগ সাফল্য তুলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন