একশ তেপান্ন বছর ধরে আর্ত মানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ৮ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:৪৬, ৮ মে ২০১৬
একশ তেপান্ন বছর ধরে আর্ত মানবতার সেবায় প্রায় দুশো দেশে কাজ করছে রেডক্রস বা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। আর বাংলাদেশে রেডক্রিসেন্টের পথচলার ইতিহাস ৪৪ বছরের। সংস্থাটির বাংলাদেশ কর্মকর্তারা জানালেন, মানবিক সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সমাজের উন্নয়নে কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট।
শুরুটা ছিল সলফারিনোর যুদ্ধে, প্রতিপক্ষ যেখানে ফ্রান্স আর অস্ট্রিয়া। পনের ঘন্টার যুদ্ধে হতাহত প্রায় বিয়াল্লিশ হাজার মানুষ। সুইস যুবক হেনরী ডুনান্ট ওই যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে বই লিখে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারই আহ্বানে এগিয়ে আসে কয়েকশ’ স্বেচ্ছাসেবক। প্রথমে পাবলিক ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, এরপর কমিটি অব ফাইভ এবং সবশেষে গড়ে তোলেন রেডক্রস; মুসলিম দেশগুলোতে যা রেডক্রিসেন্ট নামে পরিচিত ।
একশ তেপান্ন বছরের ইতিহাস। একযোগে প্রায় দুশো দেশে চলছে মানবতার সেবা; বাংলাদেশে যাত্রা শুরু বাহাত্তরের ৪ জানুয়ারী । দুর্যোগ প্রাক প্রস্তুতি, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ আর স্বাস্থ্যসেবায় শুরু হলেও চুয়াল্লিশ বছরে সবগুলো জেলায় কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট । সংস্থাটির মহাপরিচালক জানালেন, সেবার পরিধি বেড়েছে, এখন দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি, দূর্যোগ সচেতন করতেও কাজ করছে সংস্থাটি ।
বাংলাদেশে রেডক্রিসেন্ট যে কাজগুলো করছে তার মধ্যে রয়েছে, দুর্যোগ মোকাবেলা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা , যুব ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ, রক্তদান কর্মসূচির পাশপাশি থাকছে সামাজ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প, মানবিক আইন প্রচার ও জলবায়ু অভিযোজন। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প ।
তবে দুর্যোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টি করাকে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ মনেকরছে সংস্থাটি ।
প্রতিবারের মতন এবারো রেড ক্রিসেন্ট দিবস আয়োজনের উদ্দেশ্য, মানব সেবার বানী নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে দেয়া। যার শ্লোগান হবে; সবখানে সবার জন্য রেডক্রিসেন্ট।
আরও পড়ুন