ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পাবে শিশু আদালতের ক্ষমতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে শিশু আদালতের ক্ষমতা দিয়ে সোমবারশিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান

তিনি বলেন, শিশু আইন ২০১৩ সালের। এ আইনে একটু সমস্যা হচ্ছিল, শিশু আদালত গঠন নিয়ে। এ ক্রাইসিস দূর করার জন্য সংশোধনীটি প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনে আদালতের এখতিয়ার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই কোনো মামলা থেমে না থাকে বা কেউ যেন বিলম্বিত বিচার ব্যবস্থার শিকার না হয়।

সচিব বলেন, আইনের ১৬ ধারায় ১৬(ক) নাম দিয়ে একটি সংশোধন আনা হয়েছে। সেটা হলো- ম্যাজিস্ট্রেট অর্থ ফৌজদারি কার্যবিধির ধারায় ৬ এর উপধারা ৩-এ উল্লেখিত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যার অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। শিশুর যে কোনো অপরাধ বিচার করার জন্য প্রত্যেক জেলা শহরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকবে। আলাদাভাবে এ আদালত নেই। এ আইন হওয়ার পর এটি থাকবে।

শফিউল আলম বলেন, সংশোধিত আইন অনুযায়ী ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীন গঠিত প্রত্যেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে শিশু আদালতের ক্ষমতা দেওয়া হল। তারা এ কাজটা করতে পারবেন। তবে কোনো জেলায় যদি এমন আদালত না থাকে তাহলে ওই জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। আগে আইনে শুধু শিশু আদালত ছিল, বিস্তারিত ছিল না। এতে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) আইন অনুমোদন: বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, এটি ২০০৪ সালের আইন। কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বিশেষে সবাই কর্মচারী নামে অবহিত হবেন। এটা একটা সংশোধনী।

এখানে (খসড়া আইনে) ক্ষমতা অর্পণের একটি বিষয় এসেছে। চাঁদার শিডিউলে চাঁদা দেওয়া হয় সেটা যাতে ওনারা (সরকারি কর্মচারী) বোর্ডের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে সময়ে সময়ে হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারেন সেই ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে। এটা মূলত মূল প্রস্তাব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, এটা যদি কার্যকর হয়, এখন যে রেইট আছে- কল্যাণ তহবিলের মাসিক চাঁদা এ পর্যন্ত দেওয়া হত মূল বেতনের এক শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। এখন সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। যৌথ বীমার মাসিক সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম ৪০ টাকা সেটা ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে মাসিক কল্যাণ ভাতা এক হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা, সাধারণ চিকিৎসা অনুদান সর্বোচ্চ ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা, দাফনের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা, যৌথ বীমার এককালীন অনুদান এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। এগুলোর বিষয়ে যদি আইনি বিধান থাকে যে বোর্ড করতে পারবে, তবে সরকারি কর্মচারীদের বার বার সংসদে যেতে হবে না। এটা জন্যই এ প্রস্তাবটা আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বস্ত্র আইন চূড়ান্ত অনুমোদন: সচিব বলেন, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। গত বছর বস্ত্র খাতের রফতানি আয় মোট রফতানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছিল। তাই বস্ত্রখাতের গুরুত্ব বিবেচনায় ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ করা হচ্ছে।

ক্রীড়া পরিষদ আইন অনুমোদন: মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এটা ১৯৭৪ সালের আইন। এরপর কয়েকটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে এটি সংশোধন করা হয়েছে। কিছু সংশোধনী সামরিক শাসনামলে হয়েছে, এজন্য এটিকে বাংলায় নতুন করে আনা হয়েছে।

//আর//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি