দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে আগ্রহী এডিবি
প্রকাশিত : ২০:২৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:০০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
বাংলাদেশে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। বাংলাদেশ সফররত তাকেহিকো নাকাও বুধবার ঢাকায় এডিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে এসময় তিনি আরও বলেন, প্রতিশ্রুত ঋণ-সহায়তার বাইরে অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে এই অর্থায়নের পাশাপাশি সরকার চাইলে যে কোনো বড় ধরণের প্রকল্পে এডিবি অর্থ দিতে রাজি আছে।
তাকেহিকো নাকাও বলেন, “মঙ্গলবার এক বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে আমাদের অর্থায়ন করতে বলেছেন। আমরা সেখানে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত আছি। সরকার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে অবশ্যই আমরা সেটা বিবেচনা করব।”
প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করার ক্ষেত্রেও এডিবি সহায়তা করতে পারে বলে জানান ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থার প্রধান।
তিনি বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এডিবির। এই অংক আগের পাঁচ বছরের (২০১১-২০১৫) চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
“যদি প্রয়োজন হয় এর বাইরেও বাংলাদেশকে আমরা অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা দেব। সেটা চলমান প্রকল্প এবং নতুন প্রকল্পেও হতে পারে।… এমনকি সরকারের যে ১০টি মেগা প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোতেও আমরা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত আছি।” বলেন এডিবি প্রধান।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এডিবিও পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সে সময় প্রাথমিক চুক্তি হলেও পরে নানা জাটিলতায় তা আর বস্তবায়িত হয়নি। এডিবিও আর পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করেনি।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
সেই কাজ শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মার পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তাকেহিকো নাকাও আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) বাড়াতে এডিবি অবকাঠামো খাতে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ-জ্বালানি, যোগাযোগ এবং নগর এলাকার উন্নয়নে ঋণ-সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এর বাইরে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়তেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এডিবি প্রেসিডেন্ট।
এর আগে তিন দিনের সফরে সোমবার রাতে ঢাকায় আসেন এডিবি প্রেসিডেন্ট নাকাও। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সদস্য হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক এই উন্নয়ন সংস্থাটি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ঋণ-সহায়তা দিয়ে আসছে।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন