ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নির্বাচন: তোফায়েল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৩, ২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৫, ২ মার্চ ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের ন্যায় ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১ম পুনর্মিলনী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হলের খেলার মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের আহবায়ক ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ইকবাল মাহমুদ বাবলু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পুনর্মিলনীর আহবায়ক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউছার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এবং সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেভাবে ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন হয়েছে বাংলাদেশেও একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, সেই নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন, সেটি হবে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সেই নির্বাচনে আপনারা তাদেরকেই বর্জন করবেন যারা রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধার হাতে হাতকড়া পরিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই, তার কন্যা শেখ হাসিনা আছেন। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় যারা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যতার রোল মডেল বলেছে এখন তারা দেখছে এ দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

এ সময় তোফায়েল আহমেদ ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা ইকবাল হলে বসেই ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানের কর্মসূচি ঠিক করি। সব আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইকবাল হল। মানুষ তার দাবিসহ সব কিছু নিয়ে ইকবাল হলে আসতো। আমরা সেগুলোর সমাধান বের করতাম।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইকবাল হল। সারাদেশের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে ইকবাল হল। আমরা যখন ছাত্র আন্দোলন করতাম তখন গভর্নর, আইজিপিরা আমাদের সাথে কথা বলতে এই ইকবাল হলে এসেছেন।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি আর নাহিদ ভাই ছাত্র ইউনিয়ন করতাম আর তোফায়েল ভাই করতেন ছাত্রলীগ। কিন্তু আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। এ হলে অনেক স্মৃতি রয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাবির অনেক ইতিহাসের সাথে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল জড়িত। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মে এই হলের ছাত্রদের অনেক অবদান ছিলো। তিনি বলেন, আগামীতে আমরা ডাকসু নির্বাচন করবো। এ জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা চাই।

সভাপতির বক্তব্যে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা হলের অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি