সিএনজি অটোরিকশার মেয়াদ না বাড়ানোর সুপারিশ
প্রকাশিত : ২০:৫৯, ৬ মার্চ ২০১৮
ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে চলাচলরত অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। মঙ্গলবার ১৫ বছরের বেশি বয়সী সিএনজি অটোরিকশার মেয়াদ না বাড়ানো সংক্রান্ত একটি সুপারিশমালা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা ও চট্টগ্রামে চলাচলকারী অটোরিকশার ইঞ্জিন এবং গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিস্থাপন করে মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠায় ঢাকা মহানগর অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে অটোরিকশার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বুয়েটের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নিতে গত ২ নভেম্বর বিআরটিএতে চিঠি পাঠায় সড়ক বিভাগ। বিআরটিএ ১৩ নভেম্বর বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চায়।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সচিব শওকত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বুয়েট সিএনজি বিষয়ে দুইটি সুপারিশ করেছে। প্রথমত, ২০০২ ও ২০০৩ সালে নিবন্ধিত যেসব সিএনজি অটোরিকশার নির্ধারিত মেয়াদ ১৫ বছর শেষ হয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। দ্বিতীয়ত, সম্প্রতি বিআরটিএ ৩১ মার্চ পর্যন্ত যেসব সিএনজি অটোরিকশার মেয়াদ বাড়িয়েছে, তারপর থেকে সেগুলোর মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন পুনঃস্থাপন ও মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ মতামত দিয়েছে।
২০০২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ২০০৩ সালে আরো সাড়ে সাত হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হয়। তাছাড়া মিশুকের প্রতিস্থাপন হিসেবে আরো ৬৫২টি অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হয়। অটোরিকশাগুলোর বয়সসীমা ধরা হয় নয় বছর। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সাড়ে সাত হাজার অটোরিকশার বয়স শেষ হয়।
পরে ২০১০ সালে অটোরিকশার বয়সসীমা বাড়ানোর আন্দোলন শুরু করে মালিক সমিতি। তাদের আন্দোলনের কারণে সরকার দুই দফায় এক বছর করে এসব অটোরিকশার বয়স দুই বছর বাড়ায়। এরপর ২০১৩ সালে বাড়ানো হয় আরো চার বছর।
আর/টিকে
আরও পড়ুন