ভিটামিন এ’র ঘাটতি পূরণ করবে গোল্ডেন রাইস: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:৪৩, ৬ মার্চ ২০১৮
জেনেটিক্যালী মডিফাইড (জিএম) বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ধান গোল্ডেন রাইস ভিটামিন এ’র ঘাটতি পূরণে সহায়ক বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যা যোগ হচ্ছে মোট জনসংখ্যার সাথে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ফসল আজ সময়ের দাবি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবীর ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড.মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার, ইরি’র মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেল।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার অবশ্যই হাইব্রীড প্রযুক্তিগুলির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে। ২০১৩ সালে দেশের প্রথম বাণিজ্যিকভাবে জৈবপ্রযুক্তি ফসল বিটি বেগুনের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমানে কৃষি-জৈব প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে আরো তিনটি ফসল পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এগুলো হলো- ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস, আলুর নাবী ধসা রোগ প্রতিরোধী জাত এবং বিটি তুলা।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, পরিবেশগত নিরাপত্তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ি গোল্ডেন রাইসের নিয়ন্ত্রিত মাঠ মূল্যায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষাস্থলের পরিবেশ ও নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিতকরণের পরীক্ষাও করা হবে। তিনি বলেন, যাদের কাছে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাদ্য সহজলভ্য নয় কিংবা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে তাদের মাঝে সহজেই এ ধান জনপ্রিয় হবে। গোল্ডেন রাইস ইনব্রেড বা স্বপরাগায়িত জাত বিধায় কৃষক নিজেই নিজের উৎপাদিত বীজ পরবর্তী ফসল চাষে ব্যবহার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) নেতৃত্বে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় গোল্ডেন রাইসের জাত উদ্ভাবন এবং মূল্যায়নের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা ফলন ও রোগবালাই প্রতিরোধক্ষমতা অক্ষুণ্ন রেখে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগি গোল্ডেন রাইসের জাত উদ্ভাবনে নিয়োজিত আছেন।
আর/টিকে
আরও পড়ুন