উপকূলীয় নারীদের উন্নয়নে ২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ
প্রকাশিত : ১৪:৩৫, ৭ মার্চ ২০১৮
সীমান্ত উপকূলবর্তী এলাকার কয়েক হাজার নারীর জীবনমান উন্নয়নে ২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অর্থ যোগান দিতে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা ও খুলনার নারীদের এ অর্থ সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট তহবিল ও বাংলাদেশের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অর্থের যোগান দেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় এ এলাকার জীবনমান হুমকির মুখে। জাতিসংঘের উন্নয় কর্মসূচির জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মামুনুর রশিদ রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এবং নদীমাতৃক হওয়ায়, এ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এদিকে শুধু ঘুর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস-ই নয়, ওই এলাকার ভূমিগুলোতে সমুদ্রের পাণি প্রবেশ করায় তা লবণাক্ত হয়ে পড়ে। এতে সেখানে ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লোনা পানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কেবল সাতক্ষীরা ও খুলনায় ২৯ লাখ কৃষক তাদের পেশা বদলে বাধ্য হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই ধানচাষ ছেড়ে চিংড়ি চাষে মনোনিবেশ করেছেন। তবে চিংড়ি চাষের কারণে ভূমিহীনরা একেবারে বেকার হয়ে পড়েছে।
এদিকে হাইড্রোফোনিক উপায়ে শাক-সবজি চাষসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্যই এ পরিমাণ অর্থ অনুদান করা হয়েছে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পৃথিবীতে যত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার ৬০ শতাংশই ঘটে বাংলাদেশে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। তা ছাড়া ১৮২ টি দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে, এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।
এদিকে এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত ৩৯ হাজার নারী লাভবান হবে বলে জানা গেছে। ছয় বছরব্যপী এ প্রকল্প আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন