ইউএস বাংলা ট্রাজেডি
রকিবুলকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পরিবার
প্রকাশিত : ১০:৪৮, ১৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৪:০২, ১৩ মার্চ ২০১৮
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল হাসান ঝন্টুর (৩০) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে বাঘুটিয়া গ্রামের আকাশ-বাতাস। ভাইকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন বোনটি। আর সন্তানকে হারিয়ে একেবারে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছে ঢাকায় অবস্থানকরা ঝন্টুর মা।
ভাতিজাকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন চাচা-চাচী। এদিকে ঝন্টু মারা গেলেও তার স্ত্রী হাসি খাতুন এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে ৬৭ যাত্রীর দুইজন ছিলেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রকিবুল হাসান ঝন্টু ও তাঁর স্ত্রী হাসি খাতুনও ছিলেন ওই বিমানে। রকিবুল হাসান ঝন্টু নিহত হলেও তাঁর স্ত্রী হাসি খাতুন এখনো জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
জানা যায় নিহত ঝন্টু বাঘুটিয়া গ্রামের প্রয়াত রবিউল করিম মাষ্টারের ছেলে। ঝন্টুর মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে। তাদের বাড়িতে জড়ো হতে থাকে এলাকার লোকজন। স্বজনদের আহাজাড়িতে শোকে নিঃস্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এদিকে নিহত ঝন্টুর স্ত্রী হাসি খাতুন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা বলে জানা গেছে। হাসির অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবী করেছে নিহতের চাচাতো ভাই বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার আকন্দ।
নিহতের পরিবার ও চৌহালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত দু বছর আগে টাঙ্গাইলের আকুর টাকুর পাড়া মহল্লার মেয়ে ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হাসি খাতুনের বিয়ে হয়। গত কয়েক দিন আগে ঝন্টুর আমেরিকা প্রবাসী ছোট বোন রুমা আক্তার সপরিবারে নেপালের কাঠমান্ডুতে বেড়াতে যান। সেখানে এসে তাদেরও আমন্ত্রন জানায় দেশটিতে ঘুরে আসার জন্য। আর তাই, ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে সোমবার দুপুরে ইউএস বাংলা বিমানে চরে ঢাকা থেকে কাঠমন্ডুর উদ্দেশে যাত্রা করে ওই দম্পত্তি।
যাত্রার ঘণ্টাখানেক পরই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরনের সময় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। তখন ৭১ জন আরোহীর ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের জীবিত থাকার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরই একজন খুশি খাতুন। এদিকে নিহত ঝন্টুর চাচাতো ভাই বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার আকন্দ জানান, এ দুর্ঘটনার খবরে সবাই মর্মাহত। ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ভাড়া বাসায় অবস্থান করা ঝন্টুর মা এখন নিঃস্ব।
এমজে/
আরও পড়ুন