ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করা হয় যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১০, ১৪ মার্চ ২০১৮

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে দুর্ঘটনা কবলিত ফ্লাইটের পাইলটের কথোপকথনের একটি রেকর্ড ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ার পর দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবারের এই দুর্ঘটনার তদন্তে এই কথোপকথন ছাড়াও নানা দিক খুঁটিয়ে দেখা হবে।

ভারতের এক্সিউটিভ পাইলট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট এবং বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ভি কে ভাল্লাহ বিবিসিকে বলেছেন, দুর্ঘটনার পর প্রধানত দুটো দিক দেখা হয়- যন্ত্র বিকল হয়েছিল, নাকি মানুষের ভুল হয়েছিল। সাধারণত যন্ত্রের কারণেই অধিকাংশ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাল্লাহ বলেন, তদন্ত শুরু করা হয় বিমান টেক-অফ করারও অনেক আগের ঘটনাপ্রবাহ থেকে। ফ্লাইটের আগে পাইলটকে কী ব্রিফ করা হয়েছিলো, আগের দিনগুলোতে ঐ বিমানে কোনো ত্রুটি কখনও ধরা পড়েছিলো কি-না। ধরা পড়লে সেটা শোধরানো হয়েছিলো কি-না। বিমান ওভারলোড ছিলো কিনা ইত্যাদি বহু কিছু। সংশ্লিষ্ট বহু মানুষের সাথে কথা বলা হয়।

কিন্তু তদন্তের প্রধান দুটো সূত্র- ব্লাক বক্স এবং ফ্লাইই ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। ইউএস বাংলা বিধ্বস্ত ফ্লাইটের ধ্বংসাবশেষ থেকে এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রই উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর ইকবাল হোসেন বিবিসিকে বলেন, দুর্ঘটনার আগের সমস্ত কথোপকথন বা যান্ত্রিক গোলমালের সমস্ত তথ্য জমা থাকে এই দুটিতে। আগুনে পুড়লেও এগুলো নষ্ট হয়না। এবং প্রধানত এই দুটো যন্ত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বিমান দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করা হয়।

ইকবাল হোসেন জানান, ব্লাক বক্স থেকে তথ্য বের করার সক্ষমতা অধিকাংশ দেশের এখনও নেই। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাউ)সহায়তা নিয়ে থাকে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল সংস্থা এফএএ এসব ব্যাপারে সাহায্য করে থাকে।

ইকবাল বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এবং নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সক্ষমতা নেই, সুতরাং তারা হয়তো ব্লাক বক্স আইকাও বা এফএএ`র কাছে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের প্রধান দায়িত্ব যে দেশে দুর্ঘটনা ঘটে এবং যে দেশের বিমান সেই দুই দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলার এবং ব্লাক বক্স বা এফডিআরের তথ্য জানার অধিকার প্রধানত তাদেরই থাকে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশের বেসামরিক চলাচল কর্তৃপক্ষেরই বিশেষ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকে যাদের প্রধান দায়িত্ব দুর্ঘটনা হলে তার তদন্ত করা।

পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহন সংস্থা, বিমান নির্মান প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীগুলো নিজেরাও দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের প্রধান দায়িত্ব স্ব স্ব দেশের বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি