‘টানা দু’বছরের বেশি বঙ্গবন্ধুকে জেলের বাইরে দেখিনি’
প্রকাশিত : ১৩:৪৩, ১৭ মার্চ ২০১৮
বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই গরীবের দুঃখে দুঃখিত হতেন। মানুষ খেতে না পেলে, তিনি গোলা থেকে খাদ্য বিতরণ করতেন। স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর সংগ্রাম করে গেছেন। তাই অধিকাংশ সময় তাকে কারাগারেই কাটাতে হয়েছে। ফলে বাবাকে আমরা সেভাবে কাছে পাইনি।
শনিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটানা দুই বছরের বেশি সময় বঙ্গবন্ধুকে কারাগারের বাইরে থাকতে দেখিনি। তিনি সারাটা জীবন জাতির উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে আমাদের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। বাংলার মানুষ খেতে পারছে কি-না, বাংলার মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে কি-না এসব নিয়েই তিনি ভাবতেন। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু অল্প সময়ের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে টেনে তুলতে পেরেছিলেন। তিনি যদি আরও সময় পেতেন তবে অনেক আগেই বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধশালী হতো।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বজন হারানোর বেদন নিয়ে আমাদের জীবন কাটে। কিন্তু তারপরও একটি চিন্তা, একটি আদর্শ, একটি লক্ষ্য, যার জন্য আমার বাবা জীবন দিয়ে গেছেন দু:খি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে বাংলার মানুষ উন্নত জীবন পাবে সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি শিশুও পথশিশু থাকবে না। এদেশের প্রত্যেকটা শিশু লেখাপড়া শিখবে, প্রত্যেকটা শিশু মানুষের মতো মানুষ হবে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। এদেশের মানুষ ঘর পাবে, চিকিৎসা পাবে, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
একে// এআর
আরও পড়ুন