আবুল মনসুর আহমেদের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ০৮:৫৯, ১৮ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৬, ১৮ মার্চ ২০১৮
আজ ১৮ মার্চ রোববার। প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় মারা যান।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ মার্চ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আবুল মনসুর আহমদের খোঁজে: বুদ্ধদেব বসুর সাথে তর্কের সূত্র ধরে’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ওই আলোচনায় ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন গবেষক মোহাম্মদ আজম।
তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, আইনজ্ঞ ও সাংবাদিক এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা। ১৯৪৬-এ অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ-এর সম্পাদক এবং তৎকালীন কৃষক ও নবযুগ পত্রিকায়ও কাজ করেন তিনি।
আবুল মনসুর আহমদ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৫৭ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ সরকারের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন।
তার রচনার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত বিদ্রূপাত্মক রচনাবলি হলো আয়না, আসমানী পর্দা, গালিভারের সফরনামা ও ফুড কনফারেন্স। আত্মজীবনীমূলক দুটি গ্রন্থ আত্মকথা ও আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর। আরও রয়েছে বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর বিখ্যাত রচনাবলি।
পাকিস্তানের প্রথম দিকে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রথম সারির একজন নেতা। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের মেনিফেস্টো ‘একুশ দফা’র রচয়িতা তিনি—যে নির্বাচনে মুসলিম লীগকে পূর্ববাংলার ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। রাজনৈতিক কারণে তাকে পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে ও ষাটের দশকের প্রথম দিকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়। বাংলা একাডেমি সম্প্রতি আবুল মনসুর আহমদ রচনাসমগ্র নিয়ে তিন খণ্ড প্রকাশনা করেছে। আরও তিন খণ্ড প্রকাশিতব্য রয়েছে।
আবুল মনসুর আহমদ চল্লিশ, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকজুড়ে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে অবিরাম প্রচারণা চালিয়েছিলেন। ইত্তেহাদ-এর সম্পাদক হিসেবে হিনি ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখেন।
একে/এসএইচ/
আরও পড়ুন